জিয়ার বাকশাল সদস্য হওয়ার যে গোপন তথ্য জানে না বিএনপির নেতাকর্মীরা

1 min read

নিউজ ডেস্ক: আজকাল যে বিএনপি বাকশাল নিয়ে কটাক্ষ করে সেই বিএনপির অনেক নেতাকর্মীই জানে না যে, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হওয়ার জন্য নিজেই দরখাস্ত দিয়েছিলেন। সেসময় সেনাবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ছিলেন বাকশালের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। কিন্তু জিয়াউর রহমান উপপ্রধান হওয়ায় তাকে প্রথমে সদস্য করা হয়নি। তিনি দরখাস্ত দিয়ে সদস্য হয়েছিলেন।

ইতিহাস বলছে, দরখাস্ত দেওয়ার পাশাপাশি পত্রিকায় বাকশালের পক্ষে নিবন্ধও লিখেছিলেন। শুরুতে তাকে সদস্য করা না হলেও নানা আকুতি মিনতির কারণে পরবর্তীতে তাকে বাকশালের সদস্য করেন বঙ্গবন্ধু।

স্বাধীনতার পরে ৬ জন সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, পাটের গুদামে আগুন দেওয়া হয়েছিল, হানাহানি করা হয়েছিল। এর সবই করেছিলো মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তি ও তার তোষণকারীরা। তাদের প্রতিরোধ করতে সে জন্য বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা প্রয়োজন। সেটির প্রেক্ষিতেই তিনি বাকশাল গঠন করেছিলেন।

বাকশালের অধীনে একই প্লাটফর্মে সবাইকে আনা হয়েছিল, যারা নেতা ছিলেন তাদেরকে বাকশাল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছিল। এই বাকশালে যোগ দিতে আকুতি মিনতি করেছিলেন জিয়া। পরবর্তীতে শর্ত পূরণ না হলেও জিয়ার আকাঙ্ক্ষা দেখে বঙ্গবন্ধু তাকে যুক্ত করেছিলেন বাকশালে। এরপর বাকশালে যুক্ত থেকেই নিজেই হয়ে ওঠেন প্লাটফর্মটির বিষফোঁড়া। ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিছাতে শুরু করেন। লিখতে শুরু করেন ৭৫ এর ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞের স্ক্রিপ্ট।

সুতরাং আজকে যে বিএনপি বাকশাল নিয়ে এতো কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ায়, তাদের সেই কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই। উপরন্তু তারাই আওয়ামী লীগকে অনুসরণ করে আবার আওয়ামী লীগকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে গুজব-অপপ্রচার-ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours