কচুয়ায় আওয়ামী লীগের অন্য রকম ঈদ

1 min read

চাঁদপুরের কচুয়ার ইতিহাসে এবার এক অন্য রকমের ঈদ উদযাপন করেছে কচুয়া আওয়ামী লীগ। বৈশ্বিক মহামারি পরবর্তী সময়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিশ্বব্যাপী গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও দেশের মানুষ যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই ঈদে আওয়ামী লীগ দেশের প্রতিটি এলাকায় মানুষের পাশে রয়েছে।

এর অংশ হিসেবে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ নিম্ন আয়ের মানুষসহ, দলীয় নেতা কর্মী এবং সমাজের নানা শ্রেণীপেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ একসঙ্গে ভাগাভাগির লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার উদ্যোগে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ঈদের উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

ঈদের আগের রাত পর্যন্ত ড. সেলিম মাহমুদ কচুয়ায় অবস্থান করে দলীয় নেতাকর্মী ও সব শ্রেণীপেশার মানুষের ঈদ উদযাপনকে অর্থপূর্ণ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন।

২০ ও ২১ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে আলাদাভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করে ড. সেলিম মাহমুদ ৯ হাজার শাড়ি নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন। এছাড়া উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী এবং অন্যান্য পেশাজীবী মানুষের কাছে এক হাজার পাঞ্জাবি ও অন্যান্য সামগ্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে পৌঁছে দেওয়া হয়। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ইফতার ও সাহরি বিতরণ করা হয়। এছাড়া ড. সেলিম মাহমুদের উদ্যোগে উপজেলার নানা শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে শেখ হাসিনার পক্ষে ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়।

২০ এপ্রিল উপজেলার ২ নম্বর পাথৈর ইউনিয়নের মধুপুর বাজার আশ্রয় কেন্দ্র মাঠ, ১ নম্বর সাচার ইউনিয়নের সাচার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ৩ নম্বর বিতারা ইউনিয়নের বিতারা আলিম মাদরাসা মাঠ, ৪ নম্বর পালাখাল মডেল ইউনিয়নের পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠ, ৫ নম্বর পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রসন্নকাপ দ্বীনিয়া মাদরাসা কমপ্লেক্স, ৬ নম্বর উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের নাহারা আবুল মার্কেট সংলগ্ন বালুর মাঠ, ৭ নম্বর সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের কোমরকাশা পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এবং ২১ এপ্রিল উপজেলার ১২ নম্বর আশরাফপুর ইউনিয়নের মাসনিগাছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ১১ নম্বর গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের রহিমানগর শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন মাঠ, ১০ নম্বর উত্তর গোহট ইউনিয়নের পালগিরী বেগম রাবেয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ৯ নম্বর কড়ইয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর মাদরাসা মাঠ, ৮ নম্বর কাদলা ইউনিয়নের চৌমুহনী দারুস সুন্নাত আলিম মাদরাসা এবং কচুয়া পৌরসভার কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে নয় হাজার শাড়ি বিতরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের অনুষ্ঠানগুলোতে ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের জন্য যা করেছেন সেটি এদেশের মানুষ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মনে রাখবে। তাঁর অর্থনৈতিক উন্নয়ন শত বছরের অর্জনকে অতিক্রম করেছে।

বাংলাদেশকে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুউচ্চ জায়গায় নিয়ে গেছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ দেশের স্বার্থে এবং মানুষের স্বার্থে আবার শেখ হাসিনাকে পরিপূর্ণভাবে সমর্থন করে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে ইনশাল্লাহ।

এ সব উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, কচুয়ায় ড. সেলিম মাহমুদের আগে কোনো নেতা এভাবে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নিম্ন আয়ের মানুষসহ সমাজের নানা শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। গত কয়েক বছর ধরে তিনি এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণের অনুষ্ঠানগুলোতে বক্তব্য দেন- চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোতালেব হোসেন, কচুয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপন, কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মবিন, কচুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলমগীর তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন হাতেম, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নেতা রুমি বাগদাদী, ১ নম্বর সাচার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ২ নম্বর পাথৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্কাস মোল্লা, ৩ নম্বর বিতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদার ও‌ অধ্যক্ষ বিল্লাল মোল্লা, ৪ নম্বর পালাখাল মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিব মজুমদার জয়, ৫ নম্বর সহদেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, ৬ নম্বর কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার হোসেন, ৮ নম্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক, ৯ নম্বর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আহসান হাবিব জুয়েল, ১০ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন, ১২ নম্বর আশরাফপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক শামীম, ৩ নম্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কবির হোসেন মজুমদার, ৪ নম্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আহাদ, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, ৫ নম্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার হোসেন রানা, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির প্রাক্তন সদস্য অ্যাডভোকেট শওকত পাটোয়ারী তুহিন, আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ মিয়া, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রিয়তোষ পোদ্দার ও রাকিব হাসান, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপসম্পাদক কামাল পারভেজ মিয়াজী, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোতালেব হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাজার শামীম, কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকারসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours