‘দেশের রাজনীতিতে সহনশীলতা জরুরি হয়ে পড়েছে’

1 min read

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে সহনশীলতা জরুরি হয়ে পড়েছে। সহনশীল রাজনীতি নিশ্চিত করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

রাজধানীর বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও বিশিষ্টজনদের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

জিএম কাদের বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে। আমরা প্রতিযোগিতা করবো প্রতিযোগিতার জায়গায় থেকে। প্রতিযোগিতার কারণে আমরা অন্যের প্রতিপক্ষ হতে পারি; কিন্তু শত্রু হতে পারি না। আমরা নিজেরাই যেন নিজেদের সমস্যা মীমাংসা করতে পারি। রাজনীতির বাইরে আমরা সবাই সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। ক্ষমতা গ্রহণ বা রদবদল হলে যেন তাও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি, বিশেষ করে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সহনশীল রাজনীতি নিশ্চিত করতে সরকারী দলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে, বর্তমান বাস্তবতায় বিরোধীদলের তেমন কোনো ভূমিকা নেই বললেই চলে।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই এমন বাস্তবতা থেকে যেন দেশবাসী রক্ষা পায়। সহনশীল রাজনীতি নিশ্চিত করতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। ঈদের এই দিনে শপথ নিতে হবে, সামনের দিনগুলোয় আমরা রাজনীতি করবো নিজ নিজ অবস্থান থেকে। সবার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট রাখতে হবে।

জিএম কাদের আরও বলেন, দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ অর্থনৈতিক সংকটে আছে। তারা ঈদকে উৎসব হিসেবে গ্রহণ করতে পারছে না। নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেশি, মানুষের আয় কমে গেছে। দেশের মানুষ অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। সেখানে ঈদের উৎসব পালন করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল ও সামর্থবান মানুষেরা যেন হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়ান। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি যেন সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। সকলে মিলে যেন ঈদকে আমরা উৎসবমুখর করতে পারি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম, সুনীল শুভরায়, আতিকুর রহমান আতিক, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের, ড. নুরুল আজহার শামীম, মাহমুদুর রহমান লিপ্টন, নাজনিন সুলতানা, অ্যাডভোকেট জহিরুল হক জহির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন, মো. খলিলুর রহমান খলিল, মো. মাশরেকুল আজম (রবি), ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সামছুল হক, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মানসুর, আনোয়ার হোসেন তোতা, আনিসুর রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সরকার, সুজন দে, আক্তার হোসেন দেওয়ান, এমএ সুবহান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, শাহজাহান কবির, শহীদ হোসেন সেন্টু।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours