১০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগুনের ঘটনার পরিকল্পনা সাজায় তারেক রহমান

1 min read

নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বঙ্গবাজারের আগুন আতঙ্ক দূর হতে না হতেই নিউ সুপার মার্কেটে আবার আগুন লাগে। এসব আগুনের পেছনে রয়েছে কারো ইন্ধন। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই আগুনের ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশেষ আলামতও। গোপন সূত্র বলছে, লন্ডন থেকে বিশেষ পরিকল্পনায় আগুন লাগাতে ১০ কোটি টাকা ব্যয় করেন বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

খুব খেয়াল করলে দেখা যাচ্ছে, বঙ্গবাজারের আগুন লেগেছিল ভোরে। নিউ সুপার মার্কেটেরও আগুন লাগলো ভোরে। দুটিই ভয়াবহ বাস্তব ঘটনা। বঙ্গবাজারে নিমিষে পুড়ে ছাই গেল হাজার হাজার কোটি টাকা। অনেক মানুষের স্বপ্নও পুড়ে গেল। নিউ সুপার মার্কেটেও তাই ঘটলো। পুড়ে গেল স্বপ্ন, পুড়ে গেল ভবিষ্যৎ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের দ্বিতীয় সংস্করণ। আবারও সারাদেশে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড ঘটাতে চায় দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত। এবার তাদের টার্গেট অর্থনীতি। দেশের শক্তিমান অর্থনীতির চাকাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় এই শক্তি।তাইতো পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধনের দিন পরিকল্পিতভাবে আগুন দেয় বঙ্গবাজারে। পুরো ছাই হয়ে যায় শত ব্যবসায়ীর স্বপ্ন। মুহূর্তেই পথে বসে পড়তে হয় বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের। এর ঠিক দুই দিন পর শনিবার (১৫ এপ্রিল) নিউ সুপার মার্কেটেও আগুন দেয় এই দূষ্কৃতিকারীরা। বঙ্গবাজারের মতো একই কায়দায় নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদেরও পথে বসিয়ে দিতে চেয়েছে বিএনপি-জামায়াত।

এই শোকের আবহ কাটতে না কাটতেই সোমবার (১৭ এপ্রিল) উত্তরায় বিজিবি মার্কেটে আগুন। বায়তুল মোকাররমে স্বর্ণের দোকানে আগুন। নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন। রংপুর নগরীর মতি প্লাজায় আগুন। এসব নিছক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নয় বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অগ্নি সংযোগ করে জনগণের জানমাল ও আর্থিক ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। একের পর এক তারা অগ্নি সংযোগ করেই যাচ্ছে। ২০১৩-১৪ সালে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে। এবার মার্কেটে আগুন দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে অগ্নিসন্ত্রাসীরা।

এর মধ্যে টঙ্গী বাজারের সপুরা মার্কেটের নিচ তলার দক্ষিণ পাশের স্টেশনারি দোকানের সামনে গলির রাস্তায় অজ্ঞাতনামা একজন দুষ্কৃতিকারী একটি শপিং ব্যাগে রক্ষিত ২৫০মিলি কোকোকোলার বোতলে এক বোতল অকটেন, একটি ভাঙ্গা বাটন ফোনের ব্যাটারির অংশ বিশেষ এবং কিছু টিস্যু পেপার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি মার্কেটের দোকানদারদের চোখে পড়লে তারা তাৎক্ষণিক আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।

বিষয়টি জানাজানি হলে মার্কেটের সভাপতি মতিন সাহেব সবাইকে মোবাইল যোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। জানা যায়, স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এই ঘটনার সাথে জড়িত। বাংলা নিউজ ব্যাংকের সূত্র বলছে, লন্ডন বৈঠকের সূত্র ধরেই এভাবেই আগুন লাগছে বিভিন্ন মার্কেটে। টাকা দিয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের সন্ত্রাসীদের আগুন লাগাতে বলা হয়েছে। কিছু কর্মী গোপনে এসব কাজ করছে বলে জানিয়েছে একাধিক নেতা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন আসন্ন কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ বিএনপি। টাকার বিনিময়ে লন্ডন থেকে আসা পরিকল্পনা অনুযায়ী আবারও আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে দলটি। দেশবাসীকে সাবধান থাকতে হবে। রুখে দিতে হবে এই সন্ত্রাসীদের কালো হাত।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours