নিউজ ডেস্ক: পলাতক থাকায় তারেক-জোবায়দার আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ আমিন উদ্দিন। সোমবার (১০ এপ্রিল) এ তথ্য জানানোর আগে বিদেশ থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে ঢাকার আদালতে আবেদন করেছিলেন তারেক ও তার স্ত্রী।
গত ২৯ মার্চ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দার রহমানের অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। সেদিন শুনানিতে অদ্ভুত এক আবেদন করেন আসামিরা। দেশের বিচারিক ইতিহাসে যার নজির বিরল।
তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার লিখিত আবেদনে বলেন, সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পলাতক ঘোষণার পরও আইনি লড়াই করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এটি তাদের অবিচ্ছেদ্য আইনি অধিকার। আগামী ৯ এপ্রিল শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।
আইনজীবী মাসুদ বলেন, আমাদের সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের অনুসারে এটা তাদের অবিচ্ছেদ্য অধিকার। এটা থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করার কোনো আইন দেশে নেই। যদি কোনো আইন তৈরিও করা হয় এবং সেই আইনের দ্বারা যদি তাদেরকে পলাতক বা অন্যকিছুও বলা হয় তারপরও তাদের এ অধিকার সংরক্ষিত হবে। এ অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা যাবে না।
২১ আগস্টসহ অন্য দুর্নীতির মামলায় কেন এই আইনি সহায়তা চাইলেন না তারেক রহমান? এমন প্রশ্নে তার আইনজীবী বলেন, এটা আগের আইনজীবীরা বলতে পারবেন। তবে, সংবিধানমতে এ সুযোগ পাবেন তিনি।
তারেক রহমানের এ আইনজীবী আরো বলেন, একেক সময় একেকজন আইনজীবী এই দায়িত্বটা পালন করেছেন। এটি আইনি অধিকার সংরক্ষণের সুযোগ চেয়েছি আদালতের কাছে। আমরা কোনো অন্যায় আবদার করিনি। ওই সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, পলাতক কোনো ব্যক্তি আইনি লড়াই করতে পারেন না।
প্রসঙ্গত, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে, ২০০৭ সালে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। চার্জশিট ২০০৮ সালে দেওয়া হলেও উচ্চ আদালতের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল ২০২২ সাল পর্যন্ত। তবে, গত বছরের এপ্রিলে উচ্চ আদালতের এক আদেশে বিচারের পথ খুলে যায়।
+ There are no comments
Add yours