হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন মির্জা ফখরুল

1 min read

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ‘মুক্তিযোদ্ধা গণ সমাবেশ’ নামে বিশেষ সভার আয়োজন করে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। তার বক্তব্য চলাকালে সভায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এই বিশৃঙ্খলা থামাতে স্বয়ং দলের মহাসচিবকে হাত জোড় করতে হয়।

ওই সময় বক্তব্য দিচ্ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বক্তব্যের শুরুতে বলেন, একটু আগে মহাসচিব স্লোগান দিতে নিষেধ করেছেন। আপনারা যদি তার কথা না শোনেন। ৫১ বছর আগে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন তাদের বসতে দিন।

এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের স্লোগান থামাতে বলেন। পরে মাইক নিয়ে বলেন, আমি অনুরোধ করতে চাই। প্লিজ প্লিজ, আপনারা স্লোগান থামান। তাতেও কাজ না হওয়ায়, এক পর্যায়ে মাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে যান তিনি। আর বলেন, শোনেন ভাই আপনারা শোনেন। এই যে শ্রমিক দল, এই যে শ্রমিক দল। এটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান। ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়। আপনারা পরিবেশ নষ্ট করবেন না। আপনারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসতে দিন। আপনারা প্রয়োজনে বাইরে গিয়ে দাঁড়ান।

এর মধ্যে মেজর হাফিজ বক্তব্য অব্যহত রাখেন। কিন্তু নেতাকর্মীদের চিৎকার চেচামেচি এবং স্লোগানে বক্তব্য দিতে সমস্যা হচ্ছিলো। বিএনপি মাহাসচিব আবারো থামতে বলেন। কেউ থামছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি নেতাকর্মীদের কাছে দুহাত জোড় করে থামতে বলেন। কিছু সময় চুপ থাকলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। মঞ্চের দুই পাশে নেতাকর্মীরা কথা বলতে থাকেন। সভার শৃঙ্খলা ফেরাতে এবার বিএনপি মহাসচিব নিজে চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন। মিনিট দশেক পর আবারো নেতাকর্মীরা অশান্ত হয়ে উঠে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম রেগে যান। চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে নেতাকর্মীদের মঞ্চের পেছন থেকে সরিয়ে দেন।

মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্য চলাকালে তিনি বলেন,’গুলশানে বালুর ট্রাকের ওখানে গিয়ে স্লোগান দেন।’ সারাদেশ থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা বসার জায়গা পাচ্ছিলেন না। সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বলেন,’মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ার খালি করে বসার জায়গা করে দেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখনো স্লোগান বিশৃঙ্খলা চলে, ফারুক তার বক্তব্য চলাকালে বলেন,’আপনারা কি স্লোগান বন্ধ করবেন না? প্লিজ, প্লিজ।’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন,’ এই স্লোগান দিও না’। এমনকি মির্জা ফখরুল চেয়ার থেকে উঠে ডায়াসের পিছনে পরিষ্কার করতে দাঁড়িয়ে থাকা নেতাদের সরিয়ে দেন।

এসব দৃশ্য দেখে মুক্তিযোদ্ধারাও লজ্জাও পেয়েছেন। তাদেরকে এভাবে ডেকে এনে অপমান করায় বিএনপির উপর তীব্র ক্ষেপেছেন আর দলের চেইন অব কমান্ড নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলেছেন। এই দলের উপর শাসনভার গেলে কী অবস্থা হতে পারে তা ভেবে তাঁরা শঙ্কিত।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours