নিউজ ডেস্ক : গত শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মেহেরুন্নিছা। তবে প্রায় দুদিন হলেও এখনো পর্যন্ত নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি কিংবা কোথাও কোনোরকম লিখিত অভিযোগও করেননি। তবে কি তিনি আসলেই নিখোঁজ নাকি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে রয়েছেন, তা নিয়ে একধরণের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসিফের স্ত্রী এবং বাসার কেয়ারটেকারের মাঝে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। যেখানে আসিফের স্ত্রী কেয়ারটেকারকে আসিফের জন্য জামা কাপড় গোছানোর জন্য নির্দেশ দিতে শোনা যায়।
আসিফের স্ত্রী বলেন, ‘ইউসুফ (কেয়ারটেকার) স্যারের (আসিফ) কতগুলো জামাকাপড়, গেঞ্জি, প্যান্ট, শীতের কাপড়, জুতা-মোজা ব্যাগে ভরে দিয়ে দে তাড়াতাড়ি। আরে তাড়াতাড়ি দে। কেউ যেন না জানে, স্যার কই গেছে। ক্যামেরা বন্ধ করে দে। ক্যামেরার লাইন বন্ধ কর বাসার। স্যার গেলে আরও ১০ মিনিট পর ক্যামেরার লাইন চালু করবি।’
এমন কথোপকথন ফাঁস হবার পর বিএনপি নেতা আসিফ স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়েছেন বলেই ধারণা করছেন অনেকে।
এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনার বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে যাওয়ায় বেজায় চটেছিলেন তারেক রহমান। আবু আসিফকে নির্বাচন না করার জন্য নিষেধও করেছিলেন তিনি। তারপরও কথা শোনেননি আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির এই নেতা। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দলের নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে চিরতরে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেয় তারেক রহমান।
সেজন্যেই নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে কোনো উপায় না পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বিএনপির এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
আবু আসিফ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা ও এই আসন থেকে পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য বহিষ্কৃত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। আবু আসিফ মোটরগাড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৭১১৫৬১১৫৮) একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
+ There are no comments
Add yours