নিউজ ডেস্ক: ৪২ বছরের পুরনো দল হলেও প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর থেকেই বিএনপির অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময়ে অন্তর্কোন্দল বৃদ্ধি পায়। যার রেশ ধরে ২০০৭ সালে মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপিতে সংস্কারপন্থী দল তৈরি হয়। এরপর থেকে ক্ষমতায় আসতে না পারলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে কখনোই বের হতে পারেনি বিএনপি।
সর্বশেষ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিএনপির মহাসচিব করার পর যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও মির্জা ফখরুলের দ্বন্দ্ব বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্য রূপ নেয়।
যদিও বর্তমানে কারাগারে আছেন রিজভী। তিনি কিছু খেতে পারছেন না। মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারি রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স)। জরুরি ভিত্তিতে রুহুল কবির রিজভীকে কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এই সময়েই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আগাছা বলে সম্বোধন করলেন। সূত্র বলছে, কারাগারে বন্দি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ফখরুল হটাও বৈঠক করলে বিষয়টি বিএনপি মহাসচিবের কানে গেলে তিনি রিজভীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, কারাগার থেকেই দ্রুত সংবাদটি চলে যায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের কানে। তখন মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির জন্য এখন সবচেয়ে বড় আগাছা হচ্ছে রিজভী। বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তিনি রিজভী আহমেদকে দায়ী করেন।
এদিকে বিএনপির একটি সূত্র জানায়, রিজভী আহমেদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এখন কারাগারে বসেই দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে রিজভী আহমেদ যা করেন তার অনেক কিছুতেই অবগত থাকেন না মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
বিএনপির উক্ত সূত্রটি জানায়, যেহেতু রিজভী আহমেদ সরাসরি তারেক রহমানের বিশ্বস্ত সে কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটি করার সাহস রাখেন না। যার কারণে দূর থেকেই রিজভীকে আপদ বলেছেন মির্জা ফখরুল। তবে রিজভী আহমেদকে আপদ বলে নিজের ঘাড়ে কোন বিপদ-আপদ ফখরুল ডেকে আনলেন কিনা, এমন গুঞ্জনে ভারি হয়ে উঠেছে বিএনপির রাজনীতি।
+ There are no comments
Add yours