দেশের বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বিএনপি জামাতিদের মূর্খতা

1 min read

নিউজ ডেস্ক: বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকের প্রায় সবাই এখন অর্থনীতিবিদ। দেশের রিজার্ভ, অর্থনীতি, বিদেশি ঋণ ইত্যাদি বিষয়ে তোতাপাখির মতো মুখস্ত জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দেন। কিন্তু ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় ভিন্ন তথ্য।

বিএনপির আমলের শেষে ২০০৬ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও কম; যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে এখন প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তবে ইতিহাস অস্বীকার করে বিএনপির মূর্খ নেতা রুহুল কবির রিজভীর দাবি, ‘বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন সর্বকালের সর্বনিম্ন।’ ভিরমি খাওয়ার মত অবস্থা, বইপত্তর ঘেঁটে দেখলাম অন্য তথ্য। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে কখনো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারই অতিক্রম করেনি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে।

তথ্যসূত্র বলছে, বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অর্থদাতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। ২০০৩-এর ৬ নভেম্বর ওই বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘অর্থনীতি বিপর্যস্ত। জরুরি সাহায্য দরকার।’ তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটে তিন পার্বত্য জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়। ৯ নভেম্বর উপমন্ত্রী মণি স্বপন দেওয়ান বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দার জন্য এ সিদ্ধান্ত’।

বিএনপি আমলে ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে দাতাদের নির্দেশে আট দফা বাজেট সংশোধন করা হয়। সে সময় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, ‘ঋণ নিলে বিদেশিদের কথা শুনতে হয়।’ এখান থেকেই বোঝা যায় বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোথায় চলে গেছে।

এব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বর্তমানে দেশের ৩৭ বিলিয়ন ডলারের উপরে রিজার্ভ নিয়েও বিএনপি জামাতিদের আর্তনাদ মূলত জ্ঞানপাপের বহিঃপ্রকাশ। এরাই দেশের উন্নয়ন ব্যহত করতে ষড়যন্ত্র করে, গুজব ছড়ায়, মিথ্যাচার করে জনসভার নামে। তাই এদের প্রত্যাখ্যান করেছে সাধারণ জনতা।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours