নিউজ ডেস্ক: বিএনপিতে মাথা চাড়া দিচ্ছে বিদ্রোহ। বেগম জিয়ার কারাবাসের পর থেকেই টালমাটাল হয়ে পড়ে বিএনপি। ভেঙে পড়ে চেইন অব কমান্ড। বেগম জিয়া সাময়িক মুক্তি পেলেও সেই দুরবস্থা দূর হয়নি। তৃণমূলের চেয়ে কেন্দ্রে বেশি বিভাজন। কেউ শুনছেন না কারো কমান্ড। যে যার মতো নেতিবাচক বক্তব্য, মন্তব্য দিয়ে দলকে বিতর্কিত করছেন। কিসের আলামত এসব, সেটি খুঁজে বের করতে পারছে না দলটির নীতি নির্ধারকরা।
যদিও কিছু সূত্র বলছে, চূড়ান্তভাবে ভেঙে পড়ার আলামত হিসেবে বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, সুবিধাবাদীরা বিএনপিকে ভেঙে নতুন দল গঠন করতেই কৌশলে দলের বিরুদ্ধচারণ করছেন।
বিএনপি ঘনিষ্ঠ একাধিক গোপন সূত্র বলছে, বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপিতে বিভেদ মাথাচাড়া দেয় এবং সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। দলটির শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন মত ও পথে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ কারো কমান্ড মানছেন না। যে যার মতো মন্তব্য করছেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। কিছুদিন আগেই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদকে শোকজ করেছে দলটি। তারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অজ্ঞতা নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দেন, পরবর্তীতে তারেক রহমানের চাপের মুখে বক্তব্য প্রত্যাহার করেন তিনি।
হঠাৎ করে দলের প্রতি কেন বীতশ্রদ্ধ দলটির সিনিয়র নেতারা, সেটি এখন চরম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে খোদ বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য। পরীক্ষিত এসব নেতারা কেন হঠাৎ বিদ্রোহ করার চেষ্টা করছেন, সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তিত দলটির হাইকমান্ড।
তবে গুঞ্জন উঠেছে, আসন্ন নির্বাচনের আগে আগামী ২০২৩ সালে চমক দেখাতে বিএনপির একটি নতুন অংশ আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের বিরোধীদের নিয়ে নতুন নামে দল গঠনের চেষ্টা চলছে। এই অংশকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা দিচ্ছে জামায়াতের মডারেট অংশটি। যার নমুনা হিসেবে দলের ভেতরে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে এবং এটি দল ভেঙে যাওয়ার পূর্ব লক্ষণ বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। অবস্থা চলমান থাকলে আগামী বছরে বিএনপি ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
+ There are no comments
Add yours