নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি গোপালগঞ্জ সদরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মামলা হওয়ার সাথে সাথে মাঠে নেমে পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে দ্রুতই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব।
জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে। ওই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। সেই দাবি রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে নজরদারি বাড়ায় র্যাব গোয়েন্দারা। এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৮ এর অভিযানে ২৫ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে আটক করা হয়।
র্যাব বলছে, জড়িতরা পেশাদার অপরাধী। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। আটককৃতরা হলেন, রাকিব মিয়া ইমন (২২), পিয়াস ফকির (২৬), প্রদীপ বিশ্বাস (২৪), নাহিদ রায়হান (২৪), মো. হেলাল (২৪), তূর্য মোহন্ত (২৬)।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সাফল্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিল একটি চক্র। পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে ছাত্রলীগকে জড়িয়ে মিথ্যাচার শুরু করেছিল। কিন্তু আসামীরা গ্রেপ্তার হওয়ায় তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, কিছু ঘটলেই সরকার দলীয় কারো ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়াটা ঠিক নয়। যারা এ ধরনের কাজ করে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে করে একটি অপরাধকে কেন্দ্র করে অন্য কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে।
+ There are no comments
Add yours