নিউজ ডেস্ক : নিজ ভাষায় কথা বলা, প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। বিভিন্ন সময়ে জন্মগতভাবে প্রাপ্ত এ অধিকার ইতিহাসের খলনায়করা বিভিন্নপন্থায় খর্বের চেষ্টা করেছিলো। খলনায়করা অধিকার খর্বে বিভিন্ন দেশে সক্ষম হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অসফল হয়। কারণ বাংলার মানুষ অধিকারের সঙ্গে আপোষ করতে শিখে নি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতি প্রমাণ করেছিলো, অধিকার আদায় তারা জীবন দিতেও প্রস্তুত রয়েছে।
নিঃসন্দেহে যে জাতি নিজের অধিকার আদায়ে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ, সে জাতি অন্যের অধিকারকেও খর্ব করে না, যা প্রমাণিত সত্যে পরিণত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আমলে। ২০ ফেব্রুয়ারি রোববার নিজ ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি যেন আরও বিকাশ হয়, সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।
যার প্রতিফলন হিসেবে এর আগেই আমরা দেখতে পাই বাংলাদেশে অবস্থিত ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী জাতির ভাষার অধিকার বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে নেয়া উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ।
চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা এবং সাদ্ধ্রির মতো পাঁচ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। সরকারের উদ্যোগে শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষিত হচ্ছে না, মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ পেয়ে নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের ঝরে পড়ার হারও কমছে।
বর্তমানে নৃ গোষ্ঠীর শিশুরা নিজের ভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। যা বিগত কোনো সরকারের আমলে তারা পায়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী জানান, সকল নৃ-গোষ্ঠীর জন্য যে সাংবিধানিক স্বীকৃতি সেই অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে এই সরকারের সময়ে।
২০১৭ সাল থেকে চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা এবং সাদ্ধ্রি জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাক-প্রাথমিক বই দেয়া হচ্ছে। বই তৈরিতে নিজ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাই কাজ করেছেন। প্রতিটি মানুষই নিজ ভাষায় কথা বলার অধিকার রাখে। সে অধিকার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সরকারের এমন যুগান্তকারী পদক্ষেপ বহির্বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরে অধিকার বাস্তবায়ন হোক দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষ। অধিকার বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ পথ প্রদর্শক, এমনটাই ব্যক্ত করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
+ There are no comments
Add yours