পিলখানা হত্যাকাণ্ড : আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর নীল নকশা

1 min read

নিউজ ডেস্ক : নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষের ভালোবাসায় ইতিহাস গড়ে ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়টি হজম হয়নি। ক্ষমতায় আসার মাত্র ৫২ দিন পর ঘটে হৃদয়বিদারক বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা। ৭১ কিংবা ৭৫-এর দেশবিরোধী শক্তিরা ফের মেতে উঠে হত্যাযজ্ঞের মিশনে। মূলত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় মেনে নিতে না পারার ক্ষোভ থেকে বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের আইএসআই এর সহযোগিতায় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট রচনা করে। তারা চেয়েছিল, এর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে।

বিএনপি সরকার মুখে অস্বীকার করলেও তাদের কর্মকাণ্ডে বারবার প্রমাণিত হয়েছিলো, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন তারা। উক্ত সকল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের পক্ষে সে সময় সরাসরি অবস্থান করেছিলেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। তারা সে সব হত্যাকারীদের পক্ষে দিয়েছিলেন আইনি সহায়তা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীও তখন আর্মি অফিসারদের মৃত্যু প্রসঙ্গে ‘কিছু প্রাণী মারা গেছে’ বলে বিদ্রূপ করেন।

এরচেয়ে বড় প্রমাণ, বিডিআর বিদ্রোহের আগের রাতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডন থেকে তার মাকে ৪৫ বার ফোন করেন এবং নির্দেশনা দেন দ্রুত ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের হয়ে যেতে। এ কারণে যে খালেদার দুপুর ১২টার আগে ঘুম ভাঙেনা, তিনি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে বাসা থেকে বের হয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে পালিয়ে যান। যদি সম্পৃক্ততাই না থাকতো, কি ঘটতে যাচ্ছে সবকিছু নাই জানতেন, তবে কি কালো কাচের গাড়িতে করে পালাতেন বিএনপি নেত্রী? আশ্রয় নিতেন একটি দূতাবাসে গিয়ে?

সূত্রটি আরও জানায়, সব দল ও মানুষ ওই ভয়াল দুর্যোগময় মুহূর্তে সাহায্যে এগিয়ে এলেও শুধু এগিয়ে আসেনি বিএনপি-জামায়াত। তাই বলাই বাহুল্য, এ হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ ছিল। এ কারণে দল-মত নির্বিশেষে সবাই যখন কীভাবে বিষয়টি সামাল দেয়া যায়, শান্তিপূর্ণ সমাধান করা যায়- সেজন্য ছুটে এসেছিল, তখন বিএনপি-জামায়াত জোটের কোন নেতা সেখানে যাননি। বরং আত্মগোপনে ছিলেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের পক্ষে চক্রটি আইনি লড়াই করেছে।

এসব ঘটনা চিৎকার করে বলছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জামায়াত-বিএনপির সম্পৃক্ততার কথা। সস্তা ষড়যন্ত্রে মত্ত হয়ে দেশের অভ্যন্তরে অরাজকতা সৃষ্টি করে তারা চেয়েছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দিয়ে, নিজেরা ক্ষমতায় বসতে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-বিএনপি চক্র কখনোই দেশ ও দশের ভালো চায়নি। তারা দেশকে এগিয়ে নেয়ার পরিবর্তে বারবার চেয়েছে পিছিয়ে দিতে। চেয়েছে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে দেশকে পাকিস্তানের মতাদর্শে চালিত করতে। সেই ষড়যন্ত্রের পথ ধরে ফসল হিসেবে এসেছে বিডিআর বিদ্রোহ। যার নেপথ্যে মদদদাতা বিএনপি-জামায়াত চক্র।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours