প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব

1 min read

বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট- বিএনএফ এর প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতির সামনে এই মুহূর্তে সার্চ কমিটি বা অনুসন্ধান কমিটি ছাড়া আর কোনো আইন নেই। আমরা তাকে বলেছি, রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে তার অবদান রাখা যায় কি না। এছাড়া সার্চ কমিটিতে পাঁচ নাম প্রস্তাব করে নির্বাচনকে অবাধ নিরপেক্ষ এবং অর্থবহ করতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি আমরা।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে দলের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে তিনটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিদ্যমান পদ্ধতি অনুসরণ করে সার্চ কমিটি বা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সার্চ কমিটির জন্য পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এই কমিটিতে পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। অনুসন্ধান কমিটিতে দুইজন প্রখ্যাত অধ্যাপক, একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং একজন সাবেক আইজিপির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

দলটির তৃতীয় প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাবের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্যে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযােগিতা প্রদান করবে। নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অর্থবহ করতে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সমন্বয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন মন্ত্রীসভা গঠন করতে পারেন।

সংলাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- দলের সেক্রেটারি জেনারেল ড. নজরুল ইসলাম আল মারুফ, ভাইস চেয়ারম্যান এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, মো. আতিকুর রহমান নাজিম, মমতাজ সুলতানা আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মো. শফিউল্লাহ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব হাসান আজাদ প্রমুখ।

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় নতুন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত ২০ ডিসেম্বর এই সংলাপ শুরু হয়েছে। ইসি গঠনে কোনো আইন না থাকায় সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি নিয়োগ হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নামের প্রস্তাব নিয়ে তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেন। সেই সার্চ কমিটি পরে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নামের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে দেন। সেই নামগুলো থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন। এবার ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে এই নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours