যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা, ছবিটিই তার প্রমাণ

1 min read

নিউজ ডেস্ক : সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশবিরোধী মনোভাবের পেছনে যাদের হাত রয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনজনের এই ছবিটিই অনেক সমীকরণ মিলিয়ে দেয়। ৭ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন জাতীয় প্রেসক্লাবে তোলা হয়েছে এই ছবিটি। আর এর একদিন পর ৯ ডিসেম্বর র‌্যাবের ৭ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম, হোয়াইট হাউস করেস্পন্ডেন্ট মুশফিক ফজল এবং বিতর্কিত সাংবাদিক যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় আছেন সেই কনক সারোয়ার। এই তিনজন একত্রিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সুস্পষ্ট একটি বার্তা দেয়া হচ্ছে। তাহলো, বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এখন দৃশ্যমান এবং ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয়। তারা প্রতি মুহূর্তেই নতুন ষড়যন্ত্রের নকশা কষছেন।

উইলিয়াম বি মাইলাম বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত থাকার পর এখন তিনি বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। তিনি আওয়ামী লীগ বিরোধী একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তার নিজস্ব লবিস্ট ফার্ম রয়েছে এবং সরকারের বিভিন্ন ইস্যুতে সমালোচনা করা এবং মার্কিন প্রশাসনের কাছে নালিশ করাই মাইলামের অন্যতম প্রধান কাজ এখন। তবে এই কাজটি তিনি বিনামূল্যে করেন না, অর্থের বিনিময়ে করেন। বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে লবিস্ট গ্রুপকে অর্থ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডা করার জন্য সেই অর্থের ভাগ উইলিয়াম বি মাইলামও পান। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে আলোচিত।

মুশফিক ফজল হোয়াইট হাউস করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করেন এবং সেখানে তার প্রধান কাজ হলো বাংলাদেশের যাই ঘটুক না কেন, নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সেই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করা। অর্থাৎ বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বিষয়গুলো প্রশাসনের কানে তোলার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন মুশফিক ফাজিল। আর কনক সারোয়ার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। কনক সারোয়ার জামায়াত-বিএনপির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। তার ইউটিউব চ্যানেল চলে তারেক জিয়া এবং জামায়াতের অর্থায়নে। সম্প্রতি অর্থ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বিএনপির এক নেতার সাথে যে কথা বলেছিলেন সে কথার রেকর্ডও ভাইরাল হয়েছিল। আর প্রতিনিয়ত কনক সারোয়ারের কাজ হলো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানারকম অসত্য, মিথ্যা, মনগড়া তথ্য পরিবেশন করা। এই তিনজন একসাথে মিলিত হয়ে এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র করছেন।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, শুধু এই তিনজনই না আরো রয়েছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটদের অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন নীতিনির্ধারক ওসমান সিদ্দিকী। তার আরেকটি পরিচয় হলো তিনি বিএনপির সাবেক শিক্ষামন্ত্রী স্বাধীনতাবিরোধী ওসমান ফারুকের ভাই। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশবিরোধী একটি শক্ত লবি তৈরি হয়েছে মার্কিন প্রশাসনে। আর এই লবিকে অর্থ যোগাচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী।

এদিকে মার্কিন মিডিয়া, মার্কিন প্রশাসন এবং কূটনৈতিক মহলে বাংলাদেশবিরোধী একটি সুস্পষ্ট তৎপরতা দৃশ্যমান। এদের সাথে রয়েছে অন্তত ২০ জনের একটি সক্রিয় দল। যারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। আর সেই তৎপরতার অংশ হিসেবেই ৭জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয় এর পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান আজিজ আহমেদের ভিসাও বাতিল করেছে। এর আগে গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনাগুলো সুস্পষ্টভাবে একটি রাজনৈতিক চাপ এবং সরকারকে দুর্বল করে ফেলার একটি কৌশল। আর সেই লক্ষ্যে যে তারা নিয়মিত কাজ করছেন। যার প্রমাণ এই ছবিটি।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours