বিএনপিপন্থী সুশীলরা হঠাৎ অশুভ তৎপরতায়

1 min read

নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনীতিতে কিছু ব্যক্তি সরব হয়েছেন। এরা অশুভ তৎপরতার ইঙ্গিতবাহী। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, কিছু ব্যক্তি যখন হঠাৎ করেই সরব হয় তখন দেশের রাজনীতিতে তাদের অশুভ তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়।

আর এ সমস্ত ব্যক্তিরা যখন একই সুরে কথা বলেন, তখন এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে দীর্ঘদিন ধরে চলা বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক ধারা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞের বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আর এ ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য হলো দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে সরকারকে বিপদে ফেলা।

এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কদিন আগে সাবেক বিএনপি নেতা এবং এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ জাতীয় সরকারের কথা বলেছেন। আর গত কয়েক দিন ধরে ডা. জাফরুল্লাহ বিএনপিকে আক্রমণ করে এমন সব কথা বলছেন, যেন মনে হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে এখনো কোনো আন্দোলন হচ্ছে না, এ দুঃখে তার ঘুম নেই। হঠাৎ করে তিনি কেন সরব হলেন?

বিশেষ করে যখন দেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে ও লকডাউন চলছে, এ পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার কথা। আর এ সময়েই কেন ডা. জাফরুল্লাহ সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপির ব্যর্থতা নিয়ে দুঃখী মানুষে পরিণত হলেন? সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

ইদানীং আবার তৎপর হয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম। সৈয়দ ইবরাহিম কিছুদিন আগে বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থী সুশীলদেরকে নিয়ে জোট করতে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে কয়েকটি বৈঠকও করেছিলেন। এরপর তিনি হঠাৎ করে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান। এখন আবার নতুন করে তিনি সরব হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে যখন একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারা চলছে, তখন কিছু মানুষ চরম অসন্তুষ্টিতে ভুগছেন। তারা সবসময় একটি অগণতান্ত্রিক শক্তিকে কাঙ্ক্ষিত মনে করেন। অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় আসলে এ সমস্ত সুশীলদের কদর বাড়ে। তারা উপদেষ্টা বা প্রভাবশালী ব্যক্তিতে পরিণত হন। এ কারণেই তাদের মাথাব্যথা শুরু হয়েছে।

তারা আরো বলেন, এসব ব্যক্তিরা গত এক যুগে বেশ মুষড়ে পড়েছেন। তাদের অবস্থা যেন অনেকটা জল ছাড়া মাছের মতো। সেই ব্যক্তিরাই এখন সরব হয়েছেন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours