বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া গুরুতর অসুস্থ। ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাকে ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুঞ্জন উঠেছে, করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার গুঞ্জনকে বিশ্বাস করে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে ৬ দিনেও দেখতে যান মির্জা ফখরুল কিংবা রিজভীর মতো কেন্দ্রীয় নেতারা। রফিকুল ইসলামের কি দোষ এবং কোন কারণে তার সাথে এমন নিষ্ঠুর আচরণ করছেন মির্জা ফখরুলরা, সেটি নিয়েও বিএনপিতে চলছে নানা সমালোচনা।
বিএনপি ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বলছে, ৮ সেপ্টেম্বর শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা নিয়ে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপির প্রবীণ নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে আত্মীয়-স্বজনরা খোঁজ-খবর নিলেও দলের তরফ থেকে তার কোনো খোঁজ নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। ব্যারিস্টার রফিকুলের করোনা হয়েছে কিনা সেটি এখনো জানা যায়নি, তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন-এমন গুঞ্জন বিএনপির রাজনীতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। আর করোনায় ভয়েই সম্ভবত মির্জা ফখরুলরা তাকে দেখতে যাচ্ছেন না। তবে দলটির আরেকটি সূত্র বলছে, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া একটু ঠোঁটকাটা স্বভাবের নেতা ছিলেন। দলীয় ব্যর্থতা, কোন্দলের বিষয়ে তিনি নানা সময়ে সিনিয়র নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন। যার কারণে মির্জা ফখরুল ও অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সাথে তার নৈতিক অবস্থানগত দূরত্ব সৃষ্টি হয়। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে অসুস্থ রফিকুল ইসলাম মিয়ার পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপির হাইকমান্ড তার সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করছে-এমন নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির রাজনীতিতে।
অন্যদিকে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামকে কেনো দেখতে যাচ্ছেন-এমন প্রশ্ন করা হলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেন, অন্যরা কি করেছেন আমি জানি না-তবে আমি একবার ফোন করে খোঁজ নিয়েছি। আর করোনার সময়ে অসুস্থ হলে এক ধরনের আতঙ্ক তো থাকেই। সেজন্যই হয়তো কেউ যাচ্ছে না। এটা বড় কোন বিষয় নয়।
এদিকে পরিচয় গোপন রেখে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার এক আত্মীয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপির অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন রফিকুল ইসলাম মিয়া। কিন্তু তার দুঃসময়ে বিএনপি নেতাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। করোনার গুঞ্জনে পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতারা তার সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করছেন। সত্য কথা বলায় তিনি আজ বিএনপির রাজনীতিতে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন। বিএনপি নেতাদের এমন নিষ্ঠুর আচরণে আমরা হতবাক হয়েছি।
+ There are no comments
Add yours