নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনে বিএনপির জমা দেয়া আয়-ব্যয় বিবরণী অনুযায়ী ২০১৯ সালে বিএনপির আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০১৮ সালে দলটির আয় ছিল প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো, আর ২০১৯ সালে আয় হয়েছে এক কোটিরও কম। অর্থাৎ ২০১৮ সালের দশ ভাগের একভাগ আয়ও ২০১৯ সালে দলটি করতে পারেনি।
এনিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালে বিএনপির আয় কমার অন্যতম কারণ হচ্ছে মনোনয়ন বাণিজ্য, পদ-বাণিজ্য কমে যাওয়া। ২০১৯ সালে মাত্র কয়েকটি উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় টার্গেট অনুযায়ী মনোনয়ন বাণিজ্য না করতে পারার কারণে মূলত বিএনপির আয় কমেছে। তবে আয় হলেও কৌশলগত কারণে হয়তো সেটি কম দেখাচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। যদিও বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, নেতা-কর্মীদের অনুদান কমে যাওয়া ও উল্লেখযোগ্যহারে নির্বাচন না হওয়ায় ২০১৯ সালে বিএনপির আয় কম হয়েছে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, বিএনপি যে আয়-ব্যয়ের বিবরণী ইসিতে জমা দিয়েছে সেটি নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দলের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় ১০ কোটির মতো। অথচ ২০১৯ সালে সেটি দেখানো হচ্ছে এক কোটিরও কম। এটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিএনপিতে অনেক বড় বড় ডোনার রয়েছেন। তারা মাসে লাখ লাখ টাকা অনুদান দেন। সেই টাকা তাহলে যায় কোথায়?
তিনি আরো বলেন, আয় কম দেখিয়ে নেতা-কর্মীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে দলের আয় বাড়াতে হয়তো বিএনপি এমন কৌশল অবলম্বন করেছে। এছাড়া বিএনপি জনগণের কাছে বলতে চাচ্ছে তারা গরীব দল, এটি প্রচার করে তারা জনগণের সহমর্মিতা পেতে চায়। যতদূর শুনেছি, আয়-ব্যয়ের মনগড়া বিবরণী তুলে ধরায় বিএনপির অভ্যন্তরে সমালোচনাও শুরু হয়েছে। ডোনাররা ক্ষিপ্ত হয়েছেন এমন হিসাবে। বিষয়টি ইসির খতিয়ে দেখা উচিত।
+ There are no comments
Add yours