আয় হলেও বেতন পান না বিএনপি অফিসের স্টাফরা, নেপথ্যে রিজভীর কারসাজি

1 min read

নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে উল্লেখযোগ্য কোন নির্বাচন না থাকলেও প্রায় ১ কোটি টাকা আয় হয়েছে বিএনপির। সভা-সমাবেশ ও কর্মসূচি না থাকায় ব্যয়ও হয়েছে কম। মোট কথায় বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুযায়ী লাভের মধ্যেই আছে বিএনপি। জানা গেছে, দল লাভে থাকলেও ২০১৯ সালের পুরো বেতন-ভাতা পাননি নয়াপল্টন পার্টি অফিসে কর্মরত একাধিক স্টাফ। বেতন-ভাতা চাইতে গিয়ে একাধিকবার লাঞ্ছিতও হতে হয়েছে তাদের। তবে চাকরি যাওয়ার ভয়ে তারা কারো কাছে অভিযোগও করতে পারছেন না। পাওনা বুঝে না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তারা।

বিএনপির নয়াপল্টন পার্টি অফিস ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বলছে, ২০১৯ সালে ১ কোটি টাকা আয় হলেও পার্টি অফিসের স্টাফ মঞ্জু ও ফারুকের প্রায় ৬ মাসের বেশি বেতন-ভাতা বাকি রয়েছে। বকেয়া বেতন-ভাতা চাইতে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দফতর সম্পাদক রিজভী আহমেদের হাতে লাঞ্ছিতও হয়েছেন এই দুই স্টাফ। পরবর্তীতে রিজভীর হুমকিতে চাকরি হারানোর ভয়ে তারা আর কারো কাছে নিজেদের পাওনা বেতনের বিষয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। তবে বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলেও খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য দলের তরফ থেকে বিতরণ করা চাল-ডালের কিছু অংশ মঞ্জু ও ফারুককে প্রতিমাসে দেয়া হয়েছে। বলতে গেলে, নয়াপল্টনের দুই স্টাফকে বিগত ৬ মাস ধরে বেতন না দিয়ে কাজের বিনিময়ে খাদ্য দেয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, রিজভীর কারণে প্রাপ্য বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিএনপি অফিসের স্টাফরা। রিজভীর হাতে একাধিকবার লাঞ্ছিত হওয়া এবং চাকরি হারানোর হুমকি পেয়ে নিরুপায় হয়ে নিদারুণ কষ্টে তারা দিনানিপাত করছেন। বিষয়টি সমাধান করার জন্য তারা মির্জা ফখরুলের দ্বারস্থ হতেও ভয় পাচ্ছেন।

বিএনপি অফিসের দুই স্টাফের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী আহমেদ বলেন, দলের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। অফিসের ইউটিলিটি বিলও বাকি রয়েছে। স্টাফদের বেতন পুরোপুরি পরিশোধ না করা হলেও তাদের নিয়মিতভাবে দলের তরফ থেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বেতন পরিশোধ নিয়ে আমি তাদের তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করিনি। তাদের হয়তো রাগান্বিত সরে বুঝিয়েছি, আর এটি নিয়ে এখন কথা হচ্ছে। দলের আয়-ইনকাম বাড়তে শুরু করলে তাদের সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে। কিছু পেতে হলেও তো অপেক্ষা করতে হয় নাকি!

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours