গোপন রাজনীতির তৎপরতায় এগিয়ে বাম দলগুলো

1 min read

ডেস্ক রিপোর্ট: ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ছাড়া বামরা মিশে আছে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলে। সারাদেশে অধিকাংশ বাম দলের নেই কোনো কার্যক্রম। কোনো কোনো দলের অফিসও নেই। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে মাঝে মধ্যেই ঐক্যবদ্ধ হতে দেখা যায় তাদের। মোট কথা, গোপন রাজনীতিতে তৎপর তারা।

ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে বাংলাদেশে বাম রাজনীতির ধারা ১৯৭৩ সালের পর তেমন বেগবান হতে পারেনি। ফলে এ দেশের রাজনীতিতে আন্ডারগ্রাউন্ড বা গোপন রাজনীতির তৎপরতার জন্ম দিয়েছে তারা।

জানা যায়, স্বাধীনতার পর বাম রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে বিরোধ-সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে বার বার বাম দলে ভাঙন এসেছে। নেতৃত্ব বিভাজিত হয়েছে ও দলের সাংগঠনিক শক্তি খর্ব হয়েছে। তবুও দলগুলো এ দেশে সক্রিয়। কারণ বাম দলগুলোর মূল শক্তি বিদেশি দলের সহযোগিতা। এছাড়াও রয়েছে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার প্রত্যক্ষ মদদ।

বাম রাজনৈতিক দলগুলো ছোট ছোট দলে বিভক্ত থাকলেও এরা সারাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। জোট-মহাজোটসহ প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলে যুক্ত আছে বাম দলের নেতাকর্মী ও প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে বিকল্প বাম রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে জোটবদ্ধ হয়েছে। কৃষক শ্রমিকদের দাবি এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনসহ ১৫ দফার ভিত্তিতে তারা সারাদেশে সভা-সমাবেশ, হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।

মাঝে-মধ্যে শ্রমিক আন্দোলন, সুন্দরবন ও তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ রক্ষার আন্দোলনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল-সমাবেশ করতে দেখা যায়। তবে সুষম বণ্টনের নামে তাদের আন্দোলনের পেছনের গল্প মূলত চাঁদা আদায়সহ দেশজুড়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত থেকে অর্থ উপার্জন।

সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে বিকল্প বাম গণতান্ত্রিক শক্তি গড়ে তুলতে চাই। সে উদ্দেশ্য সামনে রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours