বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের নিরাপদ ঠিকানা, বললেন প্রধানমন্ত্রী

1 min read

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের নিরাপদ ঠিকানা এমনটা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০২ জুলাই) বিকেলে চীনের দালিয়ানে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোটে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর আগামী গড়তে চায় বাংলাদেশ।

ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এর আমন্ত্রণে এখন চীন সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার চীনে গেলেন শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে চীনের দালিয়ান সিটির আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে কো-অপারেশন ইন দ্য এশিয়া প্যাসিফিক রিম শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে কানাডার মন্ত্রী ম্যারি এনজি, ও দু’জন বিনিয়োগকারীর সাথে মুক্ত আলোচনায় বসেন শেখ হাসিনা। নিউইয়র্ক টাইমসের জ্যেষ্ঠ লেখক কেইথ ব্র্যাডশার এর সঞ্চালনায় বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী, সময় এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নতি প্রয়োজন, আমাদের দেশের মানুষের জন্য উন্নতি প্রয়োজন। আমি আমার দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আর এটা করতে আমাদের অনেক বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন।

আলোচনার পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত বিশিষ্টজনদের প্রশ্নোত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব সক্ষমতায় এগিয়ে যেতে পারে, তা প্রমাণিত। তিনি জানান, সমন্বিত উন্নয়নে প্রয়োজন আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোটের।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর আগামী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশই তার মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন বর্তমানের চেয়ে আরো সুন্দর জীবন। তাই উন্নতি অব্যাহত রাখতে হবে, আমি দেশের মানুষের জন্য আমরা দেশের জন্য উন্নতি অব্যাহত রাখবো।

এর আগে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এর সঙ্গে অংশ নেন শেখ হাসিনাও। ডব্লিউ ই এফ অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়ন্স শীর্ষক এবারের এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকারের শীর্ষ পর্যায় ছাড়াও ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। ৪ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী ও তার পরদিন দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। যেখানে রোহিঙ্গা সংকটের যৌক্তিক সমাধানে চীনের কার্যকর ভূমিকা চাইবে বাংলাদেশ।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours