‘ফণী’র আগমণে যশোরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

1 min read

নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় যশোরে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলার ইউনিয়নগুলোতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে আট উপজেলায় খোলা হয়েছে একটি করে কন্ট্রোল রুম। বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবধরনের ছুটি। ঝড়পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ মজুত রাখার পাশাপাশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত অর্থ।

যশোর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আভাস পেয়ে গত বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে একটি প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। ওই সভায় ফণী মোকাবেলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবধরনের ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়। জেলার আটটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধায়নে এসব কন্ট্রোল রুম থেকে জেলার সব ইউনিয়নে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হবে।

জেলার কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে খোলা থাকবে জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায়। এই কন্ট্রোল রুমের মাধমে ঘূর্ণিঝড়কালীন পুরো জেলার খোঁজ-খবর রাখা হবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়পরবর্তী প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় শুকনা খাবারসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রাখা হয়েছে। বরাদ্দ রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত অর্থ এবং টিন।

এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ জেলার বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। যারা ঘূর্ণিঝড়কালীন ও ঝড়পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় জনবল সহযোগিতা দিতে পারে।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীতে যাতে মারাত্মক ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি না হতে হয় এ জন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ঝড়পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায়ও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। সবমিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে যাতে ক্ষতি কমানো যায় এবং পরবর্তীতে দ্রুতই স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা যায় সে জন্য আমরা সভা করে প্রস্তুতি নিয়েছি।

তীব্র প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের ওড়িশা হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours