সিরিয়াতেই ছেলে সন্তানের জন্ম দিলেন আইএসের সেই শামিমা

1 min read

নিউজ ডেস্ক: জিহাদের জন্য চার বছর আগে দুই সঙ্গীসহ আইএসে যোগ দিতে লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পাড়ি দিয়েছিলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১৫ বছর বয়সী শামিমা বেগম। কয়েকদিন আগে অন্তঃস্বত্তা শামিমা নিজ দেশে ফেরার জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

স্কাই নিউজকে এক সাক্ষাতকারে শামিমা বলেছেন, আমি যা কিছুর ভেতর দিয়ে গেছি তার জন্য আমার প্রতি সবার সহানুভূতি থাকা উচিত।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আর অন্য কোনো দেশের নাগরিক নয় এমন একজন ব্রিটিশকে যুক্তরাজ্য দেশে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সিরিয়া গিয়ে তিনি ভুল করেছেন কি-না এমন প্রশ্নে শামীমা স্কাই নিউজকে বলেছেন, একভাবে দেখলে, হ্যাঁ, কিন্তু এ নিয়ে দুঃখ করি না কারণ মানুষ হিসেবে এটাই আমাকে পাল্টে দিয়েছে।

স্বামীকে খুজেঁ পাওয়ার কথা জানিয়ে শামিমা বলেন, যুক্তরাজ্যে ফিরে গেলে আমি তার মতো কাউকে পেতাম না।

তিনি বলেন, আমি নিজের সন্তান পেয়েছি, এখানে ভালো একটি সময়ও কাঁটিয়েছি। এরপর পরিস্থিতি কঠিন হয়ে গেল এবং আমি আর এটি নিতে পারছি না।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্য আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন শামিমা বেগম। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। আর তার সঙ্গে ছিলেন তার বান্ধবী আমিরা আব্বাস। তারও বয়স ছিল তখন ১৫ বছর।

আর তাছাড়া খাদিজা সুলতানা নামের ১৬ বছর বয়সী আরেক বান্ধবীও তাদের সঙ্গে ছিলেন। তারা তিনজনই লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির শিক্ষার্থী ছিলেন।

তারা তিনজন যুক্তরাজ্যের গেটওয়ে বিমানবন্দর থেকে প্রথমে তুরস্কে পৌঁছান। তুরস্কে পৌঁছানোর পর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সিরিয়ায় যান। সিরিয়ার শহর রাক্কায় কিছুদিন অবস্থানের পরে ২৭ বছর বয়সী এক ডাচ নাগরিকের সঙ্গে শামীমার বিয়ে হয়। ওই ব্যক্তি অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

বিয়ের পর ওই ব্যক্তির সঙ্গেই ছিলেন শামিমা। সেখান থেকে সিরিয়ান সেনাবাহিনী তার স্বামীকে আটক করে নিয়ে যায়। তারপর থেকে স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নেই তার। সিরিয়ায় ওই এলাকাটি ছিল ইসলামিক স্টেট নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি।

এর আগে ২০১৪ সালে শামীমার আরও একজন বান্ধবী পূর্ব লন্ডন ছেড়েছিলেন। তিনিও গিয়েছিলেন সিরিয়ায়। সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে যুক্ত হতে তারা তিন বান্ধবী ২০১৫ সালে লন্ডন ছাড়েন।

অন্যদিকে ২০১৬ সালের মে মাসে রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যে, খাদিজা সুলতানা সিরিয়ার রাকায় বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। ওই রাকা হলো আইএসের শক্ত ঘাঁটি। খাদিজার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন শামিমা। তা সত্ত্বেও অন্যরা সিরিয়ার বাঘুজ এলাকার যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে ওই সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিজেদের ইচ্ছায়, সিঙ্গেল নারী হিসেবে। কারণ, তখন তাদের স্বামীরা নিহত হয়েছেন।

প্রতিবদনের একটি অংশে দাবি করা হয়, পালিয়ে যাওয়া ওই তিন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকেই বিয়ে করেছিলেন আইএসের বিদেশি একজন যোদ্ধাকে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours