বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তার ১০ বছর কারাদণ্ড

1 min read

নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক দায়েরকৃত অর্থ আত্মসাতের মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন সহকারী পরিচালক এস এম গিয়াস উদ্দিন মৃধাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন। আসামির উপস্থিততে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের পর দণ্ডিতের জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর দুই আসামি জনৈক মকবুল হোসেন ও মহিউদ্দিন মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

বিচারকালে একই বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক আজিজুল হক ও জনৈক নুরুল হুদা মারা যাওয়ায় তাদের আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসামিদের সবাই প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের টাকা ভুয়া হিসাবে পরিশোধের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। মামলাটি শেষ ২৩ বছর সময় লেগেছে।

মামলার অভিযোগ সম্পর্কে দুদকের আইনজীবী আবুল হাসান বলেন, ‘আসামি এসএম জিয়াস উদ্দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সরকারি হিসাব শাখায় কর্মরত থেকে নিজ নামে একটি হিসাব খুলে প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের নামে ভুয়া পেমেন্ট অর্ডারের মাধ্যমে ২৫ লাখ ২১ হাজার আটশ টাকা, এছাড়া সাইদুর রহমান নামে জনতা ব্যাংকে হিসাব খুলে একইভাবে ১৫ লাখ ১১ হাজার ছয়শ টাকা, আতাউর মাসুদ নামে হিসাব খুলে ৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং আব্দুল ওয়াজেদ নামে হিসাব খুলে ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের নামে ভুয়া পেমেন্ট অর্ডারের নামে ১৯৯৬ সালের ৩ নভেম্বর থেকে ১৯৯৭ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত হস্তান্তর করে আত্মসাত করেন।

ওই অভিযোগে ১৯৯৭ সালের ২৫ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের সরকারি হিসাব শাখার যুগ্ম ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীন মামলা করেন।

পর ২০০৩ সালের ৫ জানুয়ারি সিআইডির তৎকালীন ইন্সপেক্টর মকবুল আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০০৬ সালের ৯ নভেম্বর ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত আসাসিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। পরে মামলাটি বিশেষ জজ আদালতে হস্তান্তর করা হয়। মামলাটির বিচারকালে আদালত বিভিন্ন সময়ে ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলায় আসামিপক্ষে আইনজীবী হিসাবে মাসুদ আহমেদ তালুকদার মামলা পরিচালনা করেন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours