জিএসপি সুবিধা পাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

1 min read

নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধ লাভের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা জিএসপি সুবিধার জন্য ১৬টি শর্ত পুরণ করেছি। বাকি থাকলে সেটাও পুরণ করবো। কিন্তু তারপরও সুবিধা ফেরত পাবার সিদ্ধান্তটি কি আসবে? আমরা জানতে চেয়েছি ব্যাপারটা রাজনৈতিক কিনা।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের লিখিত ও সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

অসীম কুমরার উকিলের (নেত্রকোনা-৩) এর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, যুক্তারাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম টিকফা কাউন্সিল চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা রাভের নিমিত্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

৪২টি দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি

শফিকুল ইসলাম শিমুলের (নাটোর-২) এর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের ৪২টি দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। রপ্তানী বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারনের লক্ষ্যে সরকার সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-পণ্যের বহুমুখীকরণের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা প্রদান, নতুন নতুন রপ্তানিকারক সৃষ্টির লক্স্যে জাতীয় রপ্তানি কর্মসূচির আওতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সেমিনার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা আদায়ে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া। এসব পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে প্রতিবছর রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে বলেও মন্ত্রী জানান।

১২১ দেশে কৃষি পণ্য রপ্তানি : বজলুল হক হারুনের (ঝালকাঠি-১ এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশ্বের ১২১টি দেশে কৃষি পণ্য রপ্তানী হয়। কৃষিপণ্য রপ্তানি অধিকহারে বাড়াতে সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। সেই লক্ষ্যে বিদ্যমান রপ্তানি নীতিতে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাত হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।

সয়াবিল ও শুটকী রপ্তানি : মাহমুদ উস সামাদ চৌধূরীর ( সিলেট-৩) এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি জানান, বাংলাদেশে উৎপাদিত শুটকী ও পরিশোধিত সয়াবিন বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে, পূর্বে সয়াবিন রপ্তানি না হলেও চলতি অর্থবছরে সরকারের অনুমতিক্রমে সীমিত আকারে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। আর সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, হংকং, ভারত, ইতালী, জর্ডান, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র , ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশে শুটকী রপ্তানি হচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours