একে অপরকে সহায়তা করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ-ভারত

1 min read

নিউজ ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নতি করতে চায় প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করে এগিয়ে যাবে। মহাকাশ, পারমাণবিক গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিকসের ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে দু’দেশ। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকের পর শুক্রবার দু’দেশের পক্ষ থেকে যৌথ প্রেস বিবৃতিতে দ্বিপক্ষিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বলে জানানো হয়।

ওই বৈঠকে দুই দেশ চারটি বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো হলো:

১. সিবিআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন।
২. বাংলাদেশের ১ হাজার ৮শ আমলাকে ভারত বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে।
৩. বিকল্প চিকিৎসার বিকাশে ওষধি গাছগাছড়া তৈরিতে ভারতের আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
৪. মোংলায় ইন্ডিয়ান ইকোনমিক জোনে লগ্নি টানতে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারতের হীরানন্দনী গোষ্ঠীর সঙ্গে।

প্রসার ভারতী এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। যদিও এ বিষয়ে কোনও তরফ থেকেই স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’দেশের সম্পর্ককে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে উন্নতমনা ও সুদূরপ্রসারীই শুধু নয়, সেখান থেকে পিছু হটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, সম্পর্ককে এমন উচ্চতায় স্থাপন করতে হবে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সঙ্গে মানানসই হয়। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি।

দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্তরের এই বৈঠকে বাংলাদেশের তরফ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং ভারতের তরফ থেকে নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে বাণিজ্য, লগ্নি, বিদ্যুৎ ও শক্তি, জলবণ্টন, যোগাযোগ, সংস্কৃতি ও মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক স্থাপনে সহযোগিতার গতিতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours