ঢাকা-দিল্লির ৪ সমঝোতা সই

1 min read

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান ‘বহুমুখী সহযোগিতা’ আরো জোরদার করতে দেশ দুটি শুক্রবার চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) পঞ্চম বৈঠকে এসব এমওইউ সই হয়।

সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশের ১ হাজার ৮০০ সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ভারত। এছাড়া চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে দুই দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে দুই দেশের দুর্নীতি দমন কমিশন একসঙ্গে কাজ করবে।

সকালে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু ভবনে জেসিসি বৈঠকে যোগ দেন বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আর ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বৈঠক শেষে দু’দেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এ চারটি সমঝোতা স্মারক হলো- এক. বাংলাদেশের এক হাজার ৮০০ সিভিল সার্ভিসের মধ্যম লেভেলের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক। দুই. ভারতের আইয়ুশ ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে মেডিসিনাল প্লান্ট স্থাপন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক। তিন. বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক। চার. মোংলায় ভারতের অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ সহায়তার লক্ষ্যে হিরোনদানি গ্রুপ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানান, বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের বিস্তারিত আলাপ হয়। সম্পর্কের মাত্রা নিয়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করে। দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক আস্থার সম্পর্ক সামনের দিনে আরও শক্তিশালী হবে বলেও এক টুইট বার্তায় জানান তিনি।

রবীশ কুমার আরো জানান, বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের আরো সমর্থন চান। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকেও এই সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানে ঢাকার পাশে থাকার অঙ্গীকার করা হয়।

প্রসঙ্গত, দুই দেশের পঞ্চম যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকে বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার দিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দিল্লি সফরকালে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকার পক্ষে জোরালো সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। এই সময়ে নরেন্দ্র মোদি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে ঢাকার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হওয়ার পর ড. মোমেনের এটাই প্রথম বিদেশ সফর। দিল্লি থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার ঢাকায় ফিরবেন। বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সর্বশেষ যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠক ২০১৭ সালের অক্টোবরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours