নিউজ ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাবার পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে গেলেন এ কে আবদুল মোমেন। আর প্রতিবেশী ভারতকেই বেঝে নিলেন তিনি।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি) বৈঠকে যোগ দিতেই মন্ত্রীর এই সফর। মোমেন তার ভারত সফরকালে সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে কিছু জানাননি। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এই সফরে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
এই সফরে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) প্রথম সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং ভারতের প্রাসর ভারতী দ্বিতীয় এবং দুই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৃতীয় একটি এমওইউ এ স্বাক্ষর করবেন।
দুই দেশের পঞ্চম যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দিতে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের পর যৌথ কনসালটেটিভ কমিশন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফোরাম যেখানে দ্বিপাক্ষিক সব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়।
সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা খাতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে অর্থনৈতিক কূটনীতির আওতায় ভারতের বেসরকারি খাতের আরও বিনিয়োগ চাইবে ঢাকা।
ভারতের বিনিয়োগকারীদের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ, আরও ৬ থেকে ১০টি সীমান্ত হাট চালু, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূখ- ব্যবহার, বেনাপোল স্থলবন্দর উন্নয়নসহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে বৈঠকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলাপ করবেন।
জেসিসি বৈঠকের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন মোমেন। পরে তিনি নয়াদিল্লিতে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন এবং শুক্রবার সুষমা স্বরাজের আমন্ত্রণে ভোজসভায় যোগ দেবেন।
তিন দিনের সফর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার সকালে ঢাকার ফিরে আসার কথা রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours