হঠাৎ নেদারল্যান্ডে মসজিদ নিয়ে মুসলিমদের মাঝে আতংক!

1 min read

নিউজ ডেস্ক: নেদারল্যান্ডের পি.কে.কে সন্ত্রাসী সংগঠনের চরমপন্থীদের হামলা থেকে ইসলামী প্রতিষ্ঠান ও মসজিদকে বাঁচানোর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির মুসলিম রাজনীতিবিদরা।

মুসলিম রাজনীতিবিদরা বলেছেন, ইসলামফোবিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির কারণে রাজধানী আমস্টারডামে মসজিদ এবং ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলো সুরক্ষার অধীনে নিয়ে আসা নিরাপত্তা ব্যবস্থার সূচনামাত্র। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সমস্ত শহরগুলোতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে। খবর আনাদলুর।

আনাদলুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ড্যাঙ্ক টোনাহান কোজো পার্টির সংসদীয় দফতরের প্রধান বলেছেন, গত দশ বছরে প্রায় ৩০০টি মসজিদ হামলার শিকার হয়েছে।

তিনি কেবলমাত্র রাজধানী আমস্টারডামে নয়; বরং সমগ্র দেশে মসজিদের সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের প্রতি গুরুত্ব দেন।

গত সপ্তাহে আমস্টারডাম মেয়র ভিমকে হেলেসেমা শহরটির পৌর কাউন্সিলকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ঘোষণা করেছেন যে, ইসলামফোবিয়া বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর মসজিদ ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তার অধীনে থাকবে।

ধর্মীয় নেতারা বলছেন, যেসব মসজিদ হামলার শিকার হয়েছে সেগুলোর কোনো কোনোটির জানালা ভেঙে ফেলা হয়েছে আবার কোনোটির প্রধান ফটকে শুকরের মাথা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

তারা আরও বলেন, ২০১৪ সাল থেকে তারা মসজিদে হামলার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নেদারল্যান্ডের সংসদকে প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। তবে কিছু রাজনৈতিক দল হামলার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে নারাজ।

উল্লেখ যে, ২০১৫ সালে নেদারল্যান্ড সরকার ইহুদি গীর্জাগুলোকে রক্ষা করার জন্য ১.৫ মিলিয়ন ইউরোর বাজেট বরাদ্দ করেছিল। তখন ইসলামী সংস্থাগুলো এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সমর্থন করেছিল। কিন্তু একই পদক্ষেপ অন্যান্য ধর্মের ইবাদতখানার নিরাপত্তার জন্যও যাতে নেয়া হয় সেই আহবান করে আসছে তারা।

অন্যদিকে ইউনিট পার্টির নেতা আরনোড ভ্যান ডুর্ন, যিনি ২০১২ সালে ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং নেদারল্যান্ডের বহুল সমালোচিত উগ্র-ডানপন্থী নেতা গার্ট উইল্ডার্সের ডাচ ফ্রিডম পার্টির সদস্য ছিলেন। সেখান থেকে ২০১১ সালে তিনি সরে দাঁড়ান, তিনি বলেন, আমস্টারডামে মসজিদের সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটি ভাল উদ্যোগ। কিন্তু এটি খুব দেরিতে নেয়া হয়েছে। আরও আগেই নেয়া দরকার ছিল।

আরনোড ভ্যান ডুর্ন দেশের সকল শহরে এই প্রক্রিয়াটিকে অবলম্বন করার প্রয়োজনীয়তার প্রতি জোর দিয়ে বলেন, ‘মসজিদের নিরাপত্তা বিনষ্ট হওয়ার কারণগুলো ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। যাতে হুমকিগুলো মোকাবেলা করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ব্যবস্থাগুলো যেমন গির্জা, স্কুল ও ইহুদি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেয়া হয় তেমনি দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যভাবে মসজিদ ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারেও সুরক্ষিত রীতি অনুসরণ করা উচিত।’

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours