‘কাশ্মীরের জনগণ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে’

0 min read

নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সরকারের নমনীয়তার কারণে কাশ্মীরের জনগণ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ইসলামী দলগুলোর জোট মজলিসে মুত্তাহিদা আমেলার চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা ফজলুর রহমান।

তিনি বলেন, পাকিস্তান সরকারের নমনীয়তার কারণে কাশ্মীরের জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অথচ কাশ্মীরের বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

রোববার ইসলামাবাদে কাশ্মীর বিষয়ে সর্বদলীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানের তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে।

স্বাধীনতা সংগ্রামকেও জঙ্গিবাদের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, নাইন ইলাভেনের পর বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হয়েছে। কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদেরও জঙ্গির তকমা দেওয়া হয়। আমাদের সরকার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এতে প্রভাবান্বিত হয়ে কাশ্মীর বিষয়ে নমনীয় ভূমিকা পালন করছে।

অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি খুব অস্থিতিশীল ও হতাশজনক বলে মন্তব্য পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুর রহমান আরও বলেন, বিগত সরকারগুলোর অনেক কাজের সঙ্গেই আমি জড়িত ছিলাম, সরকারি কাজকর্ম খুব থেকেই দেখে আসছি, কিন্তু এখনকার মতো এত হতাশাজনক অবস্থা কোনো সরকারের আমলেই ছিল না।

প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন কাশ্মীর কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম।কাশ্মীরের সমস্যাগুলো নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অনেক বিষয়েই জড়িত ছিলাম, কিন্তু এমন বাজে পরিস্থিতি আগে কখনো দেখিনি।

মাওলানা ফজলুর রহমান পাকিস্তানের বিগত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে মজলিসে মুত্তাহিদা আমেলা নামে রাজনৈতিক একটি জোট রয়েছে।মাওলানা ফজলুর রহমানের পিতা মাওলানা মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু তা অস্বীকার করা হয়েছিল। মাওলানা ফজলুর রহমানের এ বক্তব্যটি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছিল।

সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস নিউজ

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours