বয়ফ্রেন্ডের কথা বলে দেয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা!

0 min read

নিউজ ডেস্ক: যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন আলিম মাদরাসার দশম শ্রেণির এক ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। ক্লাসের শিক্ষক ছাত্রীর বয়ফ্রেন্ডের কথা বলে দেয়ায় রোববার এ আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ছাত্রী। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দিলে বেঁচে যায়। ওই ছাত্রীর বাড়ি শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে।

ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়ের সঙ্গে মাদরাসার এক শিক্ষক অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করেছেন। সে কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় মেয়েটি। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে শিক্ষক বলেছেন, মাদরাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাজারে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল ওই ছাত্রী। ক্লাসে বিষয়টি নিয়ে বলায় আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ছাত্রী।

ছাত্রীর ভাষ্য, মাদরাসার শিক্ষক রেজাউল বকুল আমার সম্পর্কে খারাপ কথাবার্তা বলেছেন। ক্লাসে আমার সহপাঠীদের সামনে অপমানসূচক কথাবার্তা ছড়িয়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাই।

শিক্ষক কেন তোমাকে অপমানসূচক কথাবার্তা বললেন এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রী জানায়, মাদরাসা থেকে ১২টার সময় ছুটি নিয়ে বাড়ি যেতে আমার দেরি হয়েছে। এক কলেজছাত্রের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। তার সঙ্গে এক রেস্টুরেন্টে বসে নাস্তা করে বাড়ি যেতে দেরি হয়ে যায় আমার। এ নিয়ে ক্লাসে সহপাঠীদের সামনে আমাকে খারাপ কথা বলেন শিক্ষক। বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করি।

এ বিষয়ে ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়েকে বকুল মাস্টার খারাপ কথা বলেছেন। তবে রেস্টুরেন্টে বসে নাস্তা করা ওই ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের পরিচয় আছে।

এদিকে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ এবং মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছাত্রীর বাবা।

নাভারন আলিম মাদরাসার শিক্ষক রেজাউল বকুলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাকে খারাপ কোনো কথা বলিনি, এমনকি খারাপ কোনো বাক্য প্রয়োগ করিনি। তাকে বলেছি, তুমি ছুটির আগে ছুটি নিয়ে দেরিতে বাড়ি গেলে কেন।

বিষয়টি ওই ছাত্রী তার বয়ফ্রেন্ডকে বলে দেয়। সেই সঙ্গে আমার নামে অভিযোগ করে আমি নাকি তাকে অপমান করেছি। পরে ছাত্রীর বয়ফ্রেন্ড মাদরাসায় এসে আমাকে সালাম দিয়ে বলে, আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে। আপনি দয়া করে তাকে কিছু বলবেন না। এরপর চলে যায় ছাত্রীর বয়ফ্রেন্ড।

এ বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ আলেয়া বেগম বলেন, শিক্ষার্থীরা অন্যায় করলে শিক্ষকদের শাসন করার অধিকার আছে। কিন্তু তা যদি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয় তাহলে বলার কিছুই নেই। আমরা চাই না আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন হোক।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, আমি ওই ছাত্রীর বাবার একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর সত্য ঘটনা জানা যাবে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours