নিউজ ডেস্ক: গুইদোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক অ্যাকউন্ট জব্দের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। সরকারি কৌঁসুলিরা গুইদোর বিষয়ে তদন্ত করতে পারবে বলেও জানিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। খবর রয়টার্স
বুধবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
সোমবার ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই এমন নিষেধাজ্ঞা এল দেশটির বিরোধীদলীয় এ নেতার ওপর।
এই নিষেধাজ্ঞার কারণে পিডিভিএসএ উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের সঙ্গে করা চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারবে না বলে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার জানিয়েছে।
ছয় বছর ধরে শাসন করা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর শাসনে গুইদো চ্যালেঞ্জ জানায়। আর এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ হলো তেলের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা। এ পদক্ষেপের পর বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন ও রাশিয়া।
গত সপ্তাহে নিজেকে ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করার পর প্রথমবারের মতো গুইদোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল ভেনেজুয়েলা সরকার।
ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে হস্তক্ষেপ করতে সাহায্য করেছেন গুইদো, এ অভিযোগে গুইদোর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিতে সুপ্রিমকোর্টের কাছে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক সাব।
একজন আইনপ্রণেতা ও জাতীয় পরিষদের প্রধান হিসেবে বিশেষ ছাড় থাকায় সর্বোচ্চ আদালতের অনুমতি ছাড়া গুইদোর বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করা যায় না।
আবেদন অনুমোদন করে সুপ্রিমকোর্ট গুইদোর বিরুদ্ধে প্রাথমকি তদন্তের অনুমতি দেয়।
এর পাশাপাশি ৩৫ বছর বয়সী বিরোধীদলীয় নেতা গুইদোর বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দেরও নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট।
এর আগে ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সমর্থন জানিয়েছে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল।
সম্প্রতি এক অডিও বার্তায় গুইদোকে স্বীকৃতি দেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলায় নতুন নেতার স্বীকৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ইসরাইল।
গত বুধবার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোবিরোধী এক সমাবেশে নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেন বিরোধী নেতা গুইদো।
এরপরই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ আরও কয়েকটি দেশ তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
অপরদিকে, রাশিয়া, চীন, মেক্সিকো, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ মাদুরো সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
মাদুরো ও তার পূর্বসূরি প্রয়াত হুগো শ্যাভেজ ছিলেন ইসরাইলের কঠোর সমালোচক। ২০০৯ সালে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন শ্যাভেজ।
+ There are no comments
Add yours