‘প্রশ্নফাঁস‘রোধে সক্রিয় ভূমিকায় শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা

1 min read

নিউজ ডেস্ক: আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছেন দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রশ্নফাঁসের দায় আগে ভাগেই শিক্ষা বোর্ডগুলোর দেয়ায় আরও বেশি কঠোরতা ও গোপনীয়তা অবলম্বন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ২০ জানুয়ারি জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘দায় এড়াবার প্রচেষ্টা নয়, পরীক্ষা ও প্রশ্নপত্রসহ পুরো বিষয়টির নিরাপত্তার দায়িত্ব শিক্ষা বোর্ডের। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাদের কাজ কো-অর্ডিনেশন করা। প্রশ্নপত্র ও পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে শিক্ষা বোর্ড। কিন্তু সব সময় দেখা যায়, প্রশ্নফাঁস হলেই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে আঙুল ওঠে। মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্ব সুস্পষ্ট ও আলাদা।’

এমন প্রেক্ষাপটে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরাবরই তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বিগত কয়েক বছরে তা কয়েকগুণ বেড়েছে। এবার ৮টি বোর্ডের কর্মকর্তারা একযোগ হয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সোচ্চার হয়েছেন।

এ বিষয়ে আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, এবার তার চেয়েও ভিন্ন কিছু কৌশল আমরা নিয়েছি। এবারও প্রশ্নফাঁস হবে না বলে আশা করি। শিক্ষা বোর্ডগুলো এ ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক অবলম্বন করছে। এবার প্রশ্নপত্রের সেট অনেক বেশি। জেএসসি থেকে আমরা এ পরিবর্তন আনা শুরু করেছি।‘

জানা গেছে, প্রশ্ন প্রণয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পরীক্ষা শুরুর পাঁচ থেকে ছয় মাস আগেই। শিক্ষা বোর্ডগুলোর নির্দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক বাছাই করে ৬৪ জন মডারেটরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর ৬৪ সেট প্রশ্ন তৈরির পর তা বাছাই করে নির্দিষ্ট সেট বিজি প্রেসে পাঠানো হয়।

একাধিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মডারেটররা আলাদা আলাদাভাবে প্রশ্ন চূড়ান্ত করার পর সিলগালা করে বোর্ডের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। সিলগালা অবস্থায়ই প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সাব কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে। অন্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা জানতে পারবেন না কোন সেট ছাপা হচ্ছে। এই সমস্ত তত্পরতায় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা যে যার অবস্থান থেকে শতভাগ সক্রিয় রয়েছে বলেও জানা গেছে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours