বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৪৫ বছর পরেও বাংলাদেশকে পেছনে টেনে ধরেছে বিএনপি। বিএনপির শাসনামলে উন্নয়ন থেকে বিরত ছিল এবং অন্য সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করাই যেন তাদের মূল কাজ। বিএনপি জ্বালাও পোড়াও নীতিতে বিশ্বাস করে। বিএনপি উন্নয়ন চায়নি কোনোকালেই। বাংলাদেশের অগ্রগতির একমাত্র ধারক ও বাহক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার। বাংলাদেশ যতটুকু এগিয়েছে পুরোটাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কল্যাণে। বিএনপি বাংলাদেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধার নাম। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতির শুরু সেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন। সদ্য স্বাধীন দেশ, ভঙ্গুর অর্থনীতি, সমাজ, বৈদেশিক যোগাযোগ, সেই অবস্থাকেও চ্যালেঞ্জ করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু যারা দেশকে স্বাধীন হতে দিতে চায়নি, তারা নিশ্চয়ই দেশকে গড়তে দিতে চাইবে না।
দেশকে লুটপাট করার ক্ষেত্রে একক বাধা ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তার নৈতিকবোধ। এ জন্য তাকে সপরিবারে হত্যা করল ঘাতকরা। শুধু তা-ই নয়, হত্যাকান্ড ও বাঙালির পাল্টা জাতীয়তাবাদ বাস্তবায়নের নজির হিসেবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হলো। তৎকালীন ব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেন কেউ এই হত্যাকান্ডের বিচার না চাইতে পারে। কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ‘দায়মুক্তির সংস্কৃতি’ চালু করেছিলেন। যার মাধ্যমে কেউ যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না চাইতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের প্রথম স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়া খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে চাকরি দিয়ে আলিঙ্গন করেছিলেন। বিদেশ থেকে চোখের জল ফেলা ছাড়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার কিছুই করার ছিল না। তারা দেশের বাইরে থেকে তাদের সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। ১৯৮০ সালে নোবেল বিজয়ী শন ম্যাকব্রাইড তিনজন বিশিষ্ট ব্রিটিশ আইনজ্ঞের সাথে যুক্তরাজ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার ও চার জাতীয় নেতার হত্যাকান্ডের তদন্তের জন্য প্রথম তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল। তবে জিয়াউর রহমান তাদের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেননি, যা সুষ্ঠু তদন্তে বাধা সৃষ্টির একটি স্পষ্ট প্রমাণ। একদিকে জাতির পিতাকে হত্যা করে দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করেছে অপরদিকে জাতির পিতার হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে বাংলাদেশকে অনেকটাই পিছনে টেনে ধরেছে খুনি জিয়া।
খুনিদের মধ্যে রশিদ জার্মানিতে, ডালিম স্পেনে, নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এসবই হয়েছে খুনি জিয়ার আদেশে। একজন খুনি কখনোই একটা দেশের উন্নতি করতে পারেনা। একটি মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ককে পরিবারের সব সদস্যসহ নৃশংসভাবে যেভাবে হত্যা করা হলো এবং এর পরের ঘটনাপ্রবাহগুলো বিশ্লেষণ করলেই পরিষ্কার হয়ে যায়, কতটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফসল ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড এবং কারা কতটুকু সম্পৃক্ত ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনি ব্যবস্থা থেকে দায়মুক্তি দিতে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। খন্দকার মোশতাকের কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই আইনে পরিণত করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ।
ইনডেমনিটি শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘শাস্তি এড়াইবার ব্যবস্থা’। আর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বা আইন তৈরির কারণ হচ্ছে কোনো অপরাধের বিচার করা যাবে না, এটা আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড নিয়ে তৈরি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ হলো সেই অধ্যাদেশ যার মাধ্যমে হত্যাকান্ডে জড়িতদের শাস্তি এড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিশ্বের ইতিহাসে আইনের মাধ্যমে এ ধরনের হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করার ইতিহাস দ্বিতীয়টি নেই। এরপরে সামরিক স্বৈরশাসক জিয়ার বিরোধী দমন-পীড়নের মুখে ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০৭টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে যা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বাঁধা। অগণতান্ত্রিক উপায়ে একজন স্বৈরশাসক যখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোন তখন দেশের উন্নয়নের থেকে নিজের উন্নয়নের দিকে বেশি নজর দেন। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ এটাকে আইনে রূপান্তর করে। এর ফলে রুদ্ধ হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের যাবতীয় প্রক্রিয়া। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ২১ বছর পরে ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর সপ্তম জাতীয় সংসদে এ ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের পথ প্রশস্ত হয়। আর ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংবিধানের ৫ম সংশোধনীকেই অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসের একটি কালো দিন। ১৯৯৬ সালের এই দিনে স্বৈরাচারের প্রতিভূ বিএনপি প্রহসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে। জন্মগতভাবেই গণতন্ত্র ও বিএনপি’র অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানকে সপরিবারে নির্মম হত্যাকান্ডের পর স্বৈরশাসনের কবলে নিমজ্জিত হয় বাংলাদেশের জনগণ। নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে বিএনপি নামক বীষবৃক্ষের জন্ম দেয় স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নিজেকে অসাংবিধানিকভাবে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি ঘোষণার মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এবং হ্যাঁ/না ভোট ও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে। পরবর্তীতে জিয়ার দেখানো পথে দীর্ঘ স্বৈরশাসনে বন্দি থাকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র। ফলে দীর্ঘদিন বাংলাদেশে কোনো ধরনের উন্নয়ন তো দূরে থাক, এদেশের সাধারণ মানুষ উন্নয়নের স্বপ্ন দেখতেও ভুলে গিয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোল-সংগ্রাম ও গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় গণতন্ত্র। বাংলাদেশের মানুষ ফিরে পায় ভোট ও ভাতের অধিকার। কিন্তু ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবারও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকার গঠন করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি। গণতন্ত্রের মোড়কে দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর অচিরেই ওই সরকার এক স্বৈরাচারী সরকারে পরিণত হয়। সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি তার সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে। বিএনপি তাদের একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক শাসন টিকিয়ে রাখার অশুভ লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এক ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে। সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করলেও বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুকের ফ্রিডম পার্টিকে সাথে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে বিএনপি। এমনকী খুনি ফারুককে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসান বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ১৫০ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়। দেশবাসী ঘৃণাভরে ওই একতরফা নির্বাচনী তামাশা বর্জন করে। নির্বাচন দেশে ও বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা হারায়। বিএনপির প্রতি জনগণের ঘৃণা ও ক্রোধ বিস্ফোরিত হয় এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলাদেশ। শাসকগোষ্ঠী বিএনপি সব দিক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠিত হয় জনতার মঞ্চ। জনগণের ক্ষোভ ও ঘৃণা গণঅভ্যুত্থানে রূপান্তরিত হয়। গণদাবির কাছে নতি শিকার করতে বাধ্য হয় স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী। ৩০ মার্চ বিএনপি সরকারের পতন ঘটে। অবশেষে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আপোসহীন নেতৃত্বে বিজয় সূচিত হয় জনগণের।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়মা লীগ। জনগণ ফিরে পায় তাদের হারানো ভোটের অধিকার। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারায় এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তারপরও বিএনপি’র ষড়যন্ত্রের রাজনীতি কখনও থেমে থাকেনি। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে বিএনপি সব সময় নির্বাচনী ব্যবস্থার চোরাগুপ্তা পথ বেছে নিয়েছে। জনগণের প্রতি আস্থা না রেখে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের রাজনীতিতে লিপ্ত থেকেছে। বিএনপি-জামাত অশুভ জোট নির্বাচনী ব্যবস্থা ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বিনষ্ট করতে ২০১৪ সালে সারাদেশে ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নস্যাতের জন্য বিএনপি-জামাতসহ স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক শক্তি জোটবদ্ধ হয়ে হত্যা, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ও ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিতে লিপ্ত হয়। স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় জামাত-শিবিরের ঘাতকবাহিনী বিএনপিকে নিয়ে দেশবাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে ব্যাপক অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিএনপি। ফলে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে বিএনপি’র।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলার জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত উন্নয়ন-অগ্রগতি সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধির পক্ষে গণরায় প্রদান করে। জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। বিএনপি এখন বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খেলছে। আপনারা লক্ষ করেছেন, বিএনপি-জামায়াতের যখনই মিটিং হয়, যখনই সমাবেশ করে, সমাবেশের দিন বা তার আগের দিন বিশেষ একটা রাষ্ট্রদূতের অফিসে বৈঠক করে। কেন? এর কারণ একটাই, বিএনপি এখন বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খেলছে। বিদেশিদের বলব কাদের নিয়ে আপনারা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান, যারা ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত খুন করেছে? আপনারা কাদের গণতন্ত্রের কথা বলেন, যে দলের জন্মই হয়েছিল ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে? এগুলো দেশের মানুষ বোঝে। যাদের নিয়ে আপনি (সেই রাষ্ট্রদূত) এই খেলা শুরু করেছেন, এই খেলা দেশের জনগণ বাস্তবায়ন করতে দেবে না।’
বিএনপি এখন গণতন্ত্র হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। এখানে লাখো শান্তির সৈনিক সমবেত হয়েছে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তি রক্ষা করতে এসেছে। তারা শান্তি রক্ষা করবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার এতবছর পরেও বিএনপি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করার পায়তারা করছে বিভিন্ন বিদেশি চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে। বিএনপি এতদিন উন্নয়নের পথে অন্তরায় ছিল এখন আরও বড় পরিসরে বাংলাদেশকে পিছিয়ে নেয়ার নেশায় মগ্ন। তারেক রহমান সহ বিএনপি নেতাকর্মীদের স্লোগান হলো টেক ব্যাক বাংলাদেশ অথচ বাংলাদেশ বর্তমান সরকারের অধীনে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা পাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর বিএনপি এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশকে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরছে যা একটা রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত। এতে বিদেশি বিনিয়োগ থেকে শুরু করে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন যজ্ঞেও আঘাত হানতে পারে ফলে বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে যাবে।
+ There are no comments
Add yours