দুর্নীতির বরপুত্র তারেকের যত সাজা ও মামলা

1 min read

ছেঁড়া গেঞ্জি আর ভাঙা সুটকেস থেকে আজ খুনি জিয়া-পরিবারের সবাই হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। এখন তারেক রহমান লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চলমান ১৯টি মামলার মধ্যে মাত্র ৫টি মামলায় সাজা হয়েছে।

বাংলাদেশে দুর্নীতির বরপুত্র হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, জঙ্গিবাদের মদতদাতা, আর কোনোদিন রাজনীতি না-করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পলাতক তারেক রহমান। যাকে সবাই ‘মিস্টার টেন পারসেন্ট’ নামে চেনে। বিদেশে অর্থপাচারের মূল কারিগর তারেক রহমান। হাওয়া ভবনে বসে জোট সরকারের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, বাংলাদেশকে টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল। ছেঁড়া গেঞ্জি আর ভাঙা সুটকেস থেকে আজ খুনি জিয়া-পরিবারের সবাই হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। এখন তারেক রহমান লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চলমান ১৯টি মামলার মধ্যে মাত্র ৫টি মামলায় সাজা হয়েছে। মামলাগুলো হলো-

অবৈধ সম্পদের মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবায়দার ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে পঞ্চম মামলায় তার সাজা হলো। রায়ে তারেক রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এটিই জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম কোনো মামলার রায়। এ রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তারেক রহমানকে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা না-দিলে তাকে আরও তিন মাস সাজা ভোগ করতে হবে। জোবায়দাকে তিন বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস দণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া এই দম্পতির অপ্রদর্শিত সম্পদ হিসাবে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত। ২০২৩-এর ২ আগস্ট ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান জনাকীর্ণ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারিরও আদেশ দেন বিচারক।

২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ঘোষণা করেন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলা মামলার এ রায়ে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআই-র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই-র তৎকালীন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিমসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া এ মামলার আসামি পুলিশের সাবেক তিন মহাপরিদর্শকসহ ১১ সরকারি কর্মকর্তাকেও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় তারেক রহমানকে পলাতক হিসেবে দেখানো হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমানের ১০ বছর জেল ও ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। একই মামলায় তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। সেনাসমর্থিত এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ২৭৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই খালেদা জিয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের করে দুদক। অপরাধজনিত বিশ্বাস ভঙ্গ, দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে ২ বছর কারাদণ্ড

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে নড়াইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা ওই রায় দেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মো. শাহাজান বিশ্বাস কালিয়া আমলি আদালতে মামলা করেন। শাহাজান বিশ্বাস কালিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক থানা কমান্ডার ও কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ইংল্যান্ডের ইস্ট লন্ডনের এন্ট্রিয়াম ব্যাংকওয়েট হলে যুক্তরাজ্য বিএনপির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করে।

বিদেশে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা

বিদেশে অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে নিম্ন আদালতের ঘোষিত রায় বাতিল করে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই এ রায় দেন হাইকোর্ট। তারেকের বিষয়ে নিম্ন আদালতের ঘোষণা করা রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল গ্রহণ করে এ রায় দেন আদালত। পাশাপাশি তারেক রহমানের ব্যবসায়িক বন্ধু হিসেবে পরিচিত বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে এ মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আদালত তারেক রহমানের সাজা ঘোষণার আগে কিছু অভিমত প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, ‘দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তারেক রহমান এমন রাজনৈতিক শ্রেণির ব্যক্তি, যার দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার কথা। কিন্তু তিনি সচেতনভাবে অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি তার রাজনৈতিক অবস্থান ব্যবহার করে পরামর্শক ফির নামে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীর (সাজাপ্রাপ্ত গিয়াসউদ্দিন আল মামুন) মাধ্যমে ডার্টি মানি (নোংরা অর্থ) অর্জন করেছেন। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় সংঘটিত এ ধরনের দুর্নীতি সুশাসন, টেকসই উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকিস্বরূপ।’

বিদেশে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা পাচার করার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক। ওই মামলায় ঢাকার একটি আদালত ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এক রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। একই মামলায় গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সে-বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। একইসঙ্গে কারাবন্দি মামুনও আপিল করে রায়ের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর আপিলটি কার্যতালিকায় এলে হাইকোর্ট ১২ জানুয়ারি তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন। এ পরিস্থিতিতে ২০ ও ২১ জানুয়ারি দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয়। সমনের নোটিশ তারেক রহমানের কাছে পৌঁছানোর তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার করেন আদালত।

লন্ডনে পলাতক নির্বাসিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বাকি ১৪টি মামলার বিচারকাজ বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন। এসব মামলার প্রায় প্রত্যেকটিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

দুর্নীতির বরপুত্র ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমান সেনানিবাসে তৎকালীন মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেফতার হয়। ওই সময় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডজনেরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজনীতি না-করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে ২০০৮ সালে লন্ডন যায়। এরপর থেকে সেখানেই দুর্নীতির টাকায় বিলাসী জীবনযাপন করে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসার নামে দেশে না ফেরায় আদালত তার জামিন বাতিল করে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেন। তিনি না আসায় পলাতক হিসেবে এসব বিচারাধীন মামলায় তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়।

বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো :
– ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে ২০১২ সালের ২ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম অর্থঋণ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এই ঋণখেলাপি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৪ জনকে বিবাদী করা হয়।
– ২০০৭ সালে বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তা সাব্বির হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে নিতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আরেকটি মামলা করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে।
– তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর আয়কর ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা করে।
– ২০০৭ সালের ৮ মার্চ তারেক রহমান ও তার একান্ত সহকারী মিয়া নূরউদ্দিন অপুকে আসামি করে গুলশানের উদয় টাওয়ারের মালিক ও ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভূঁইয়া ১ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন।
– ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ গুলশানের ব্যবসায়ী ও রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। মামলায় ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়। একই বছর গুলশান, ধানমন্ডি, শাহবাগ ও কাফরুল থানায় কয়েকটি চাঁদাবাজির মামলা হয়। এসব মামলায় গিয়াসউদ্দিন মামুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারেক রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে অবশ্য তারেক রহমান হাইকোর্ট থেকে এসব মামলায় জামিন পায়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল একই বছরের ৪ মে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় মামুন ও তার সহযোগীরা ৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ মামলায়ও মামুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে তারেকের নাম বলেন। ১ এপ্রিল ব্যবসায়ী মীর জাহির হোসেন ধানমন্ডি থানায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার ছয় সহযোগীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। ৯ এপ্রিল শাহবাগ থানায় আবদুল মোমেন লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাসার ব্যবসায়ী মামুনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। মামুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারেক রহমানকে এ মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন কাফরুল থানায় আরেকটি মামলা করেন। ১৬ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামুন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলায়ও মামুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারেককে আসামি করা হয়।

গুলশান থানায় পঞ্চগড়ের জাজ ডিস্টিলারির স্বত্বাধিকারী হারুন ফেরদৌসী ২৭ মার্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন। ঠিকাদার মীর জাহির হোসেন ধানমন্ডি থানায় মামুনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেন। মামুনের স্বীকারোক্তির পর তারেককে এ মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়। জাপান বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধানের কাছ থেকে যৌথভাবে কোম্পানি গড়ার নামে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ করেন মামুন- এ অভিযোগে ২০০৭ সালের ৫ জুন শাহবাগ থানায় মামুনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়। এ ঘটনায়ও তারেকের ইন্ধন রয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করেন মামুন। এ মামলায়ও তারেককে গ্রেফতার দেখানো হয়।

চীনের হারবিন পাওয়ার কোম্পানির স্থানীয় প্রকল্প প্রতিনিধি খাদিজা ইয়াসমিন ৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামুনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামুন স্বীকারোক্তিতে বলেন, তারেকের হয়ে তিনি চাঁদা চেয়েছিলেন। এছাড়া কেরানীগঞ্জ থানার এক গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগে তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। বাকি মামলাগুলোর দ্রুত বিচার সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours