সম্প্রতি ঘোষণা হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। তফসিল ঘোষণার পরপরই বিএনপির শতাধিক নেতা নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা বললেও এরই মধ্যে বোমা ফাটিয়েছেন বিএনপির সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক খোলা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তারেক রহমান আমাকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না। খালেদা জিয়ার মুক্তি, সকল বন্দিদের মুক্তি, সবার সকল মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকার একটি সবুজ সংকেত আমাকে দিয়েছে নির্বাচনে আসার শর্তে। তার জন্য খালেদা জিয়ার সম্মতি দরকার। কিন্তু তারেকের ভারপ্রাপ্ত পদ চলে যাবে বলে সে আমাকে দেশমাতার সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, সবার আগে আমাদের দেশ। আমাদের দেশকে বাঁচাতে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার বিকল্প কোন নেতা নাই। তিনি দেশপ্রেমিক, জনদরদী, মহান ও মহামানবিক। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার চেয়ে ত্যাগ আর কারো নাই। দেশমাতা খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি ও সকল মামলা প্রত্যাহারের জন্য শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোন পথ নাই।
চিঠিতে তিনি বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সবাইকে ছেড়ে দিতে সম্মত আছেন যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে। তিনি আমাকে একটি দায়িত্বও দিয়েছেন। আমাকে চেয়ারপারসনের সঙ্গে কথা বলে তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। তাই গতকাল দেশমাতার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম।
তারেক রহমানকে দেয়া এক চিঠিতে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আপনার অনুমতি ছিল না বলে দেখা করতে পারি নাই। সাড়ে ৪ ঘণ্টা ডাক্তার জাহিদের সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু আপনার অনুমতি ছাড়া তারা আমাকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে দেয় নাই।
মেজর আখতারের এমন চিঠির পর খোদ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বিএনপির পলাতক নেতাকর্মীরা।
তারা বলছেন, আজ তারেক রহমানের জন্যই দলের এই অবস্থা। তিনিই খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিণতির জন্য দায়ী। এখন বিএনপিকেও ধ্বংস করতে চাইছে। জীবন থাকতে তা হতে দেয়া যায় না।
তারা মনে করছেন, তারেককে দল থেকে বিতারিত করে হলেও বিএনপিকে বাঁচাতে আমাদের এক হতে হবে। অংশ নিতে হবে নির্বাচনে। বিরোধী দলে এসে সরকারের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে। এভাবেই একদিন না একদিন আমরা সরকারেও যেতে পারবো।
+ There are no comments
Add yours