নিউজ ডেস্ক : বিএনপি এতোদিন ধরে আন্দোলন সহিংসতা চালাচ্ছে। কোনো পর্যায়েই তো তারা সংলাপে যেতে চায়নি বা সংলাপের আহ্বানও জানায়নি। ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির হরতাল-অবরোধে সারাদেশে অসংখ্য অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বাদ যায়নি ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি, পুলিশের গাড়ি, আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের অফিস, পুলিশ বক্স, কাউন্সিলর অফিস, বিদ্যুৎ অফিস, এমনকি সাধারণ মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও পুড়িয়ে ছাই করেছে বিএনপির সন্ত্রাসীরা।
আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর একরাতে চাঁদপুর, ঢাকা, বগুড়া, সিলেট, নোয়াখালী, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে ৩৬টি যানবাহনে আগুন দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে ছোট-বড় অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এই সন্ত্রাসীদের হামালায় হামলায় গাড়িচালক ও যাত্রী মিলিয়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সরকার বারবার সংলাপের কথা বলেছে। ১৫ অক্টোবর ওবায়দুল কাদের শর্তহীন সংলাপের কথা বলেছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল তা নাকচ করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘শর্তহীন সংলাপে রাজি নয় বিএনপি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে ‘শর্তহীন সংলাপ’ হতে পারে। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় আলাপ-আলোচনা করার জন্য নির্দেশ দেন। তাহলে সংলাপ নিয়ে এতো আলোচনা কেন?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে দলের চেয়ারপার্সন দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৫৮ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। সে দলের সাথে কী করে সংলাপ হতে পারে? বিএনপিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসতে হলে অবশ্যই দণ্ডিত অপরাধীদেরকে দল থেকে বের করে তারপর অন্য আরেকটি গণতান্ত্রিক দলের সাথে সংলাপের কথা বলতে হবে।
+ There are no comments
Add yours