নিউজ ডেস্ক: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল (শেবাচিম) কলেজের ড্রেন থেকে ৩১টি অপরিণত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শেবাচিম কলেজ সূত্রে জানা গেছে, দেহগুলো দীর্ঘদিন ধরে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ বছর আগে ডামি হিসেবে অপরিণত মরদেহগুলো মেডিসিনের মাধ্যমে কাচের জারে সংরক্ষণ করা হয়। মেডিসিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে দেহগুলো মাটিচাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওয়ার্ড-বয়রা কাউকে কিছু না বলে দুপুরে হাসপাতালের পেছনে এক জায়গা জারগুলো স্তুপ করে রাখে। পরে টোকাইরা দেহগুলো বের করে ফেলে দিয়ে জারগুলো নিয়ে যায়। রাতে ড্রেন পরিস্কার করতে আসা সিটি করপোরেশনের কর্মীরা দেহগুলো দেখে স্থানীয়দের জানায়। পরে হাসপাতালের কর্মীরা দেহগুলো উদ্ধার করে মাটিচাপা দেয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় হাসপাতালে জন্ম নেওয়া মৃত নবজাতক ও অপরিণত শিশুর দেহ পরিবার নিয়ে না যাওয়ায় সেগুলো শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল (শেবাচিম) কলেজের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, এই ঘটনায় আগামীকাল (মঙ্গলবার) তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে যাদের দোষ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ’৩১ টি অপরিণত নবজাতকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
+ There are no comments
Add yours