উপযুক্ত প্রার্থী সংকটে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিভক্ত বিএনপি!

1 min read

নিউজ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে বিএনপিতে। মূলত উপযুক্ত নেতা নির্বাচন ও পেশকৃত দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বা না করা নিয়ে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে এ তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে মূলত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। একটি পক্ষ চায় না ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, ভিপি ও জিএস পদে ছাত্রদলের উপযুক্ত প্রার্থী নেই। এছাড়া সংশোধিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, ছাত্রদলের সম্ভাব্য অনেক প্রার্থী বাদ পড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি বিএনপির সাত দফা দাবি মেনে নেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এমনকি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মতো সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতেও সুপারিশ করেছে নির্বাচন বিরোধী পক্ষটি।

সূত্রটি আরো জানায়, সম্ভাব্য পরিণতি জেনেও মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রার্থী ও সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলামদের মতো সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনমুখী পক্ষটি। তারা বলছেন, হার-জিত নয় বরং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ভয়ের সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারবে ছাত্রদল। এতে পরবর্তীতে বড় ধরনের আন্দোলনে নির্ভয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো শক্তি সঞ্চার করতে পারবে ছাত্র নেতারা।

এদিকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিভক্তির কথা স্বীকার করে বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, প্রথমে বিএনপিকে সিদ্ধান্তে আসতে হবে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা? ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে দলে কম বিতর্ক হচ্ছে না। আমার প্রশ্ন হলো, উপজেলা নির্বাচন বয়কট করে কেন ডাকসুর মতো ছোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বিএনপি? তাহলে কি উপজেলা পর্যায়ের নেতারা দলের জন্য জরুরি নন। মনে রাখতে হবে, তৃণমূল বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছেন উপজেলা-থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা। তাদেরকে নির্বাচন থেকে দূরে রেখে একটি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপির কোনো লাভ হবে না। ঢাকার হাতেগোনা ক‘জন ছাত্র নেতা বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে পারবে না।

কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, আমার কাছে তথ্য আছে যে, লন্ডন থেকে নাকি নির্দেশ দেয়া হয়েছে- ডাকসু নির্বাচন না করার জন্য। কিন্তু নজরুল ইসলাম খানরা সেই নির্দেশনা অমান্য করে ডাকসুর নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে মতামত দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এগুলো বিএনপির জন্য ভালো আলামত নয়। কাজের সময় ছাত্রদলের নেতাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ পদের জন্য এখন দিনরাত বিভিন্ন সিনিয়র নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। ভোগ আর সুবিধার রাজনীতির জন্য আজ দলের এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল নেতারা জয়ী হলেও জাতীয় রাজনীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। বিএনপিকে জাতীয় রাজনীতি নিয়ে চিন্তা করতে হবে। চিন্তার গভীরতার অভাবে আজকে বিএনপিকে পদে পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours